আবহাওয়ার উন্নতি হলেও, ‘যদি’র কথা শোনাচ্ছে DVC: আতঙ্কে বানভাসিরা

0
37

খাস খবর ডেস্ক: ডিভিসি জল ছাড়ায় রাজ্যের একাধিক জেলায় সৃষ্টি হয়েছে বন্যা পরিস্থিতি। আর তাই জল ছাড়ার পরিমাণ কমাল দুর্গাপুর ব্যারেজ। শনিবার সকাল ৭টার পর থেকে প্রায় ১লক্ষ ৫৫ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হচ্ছে। তবে সেচ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, যদি বৃষ্টি না হয় তা হলে ধীরে ধীরে আরও কমানো হবে জল ছাড়ার পরিমাণ।

আরও পড়ুনঃ গণতন্ত্রকে বাঁচাতে হলে মানুষের মন থেকে ভয় ভীতি দূর করতে হবে, পরামর্শ রাজ্যপালের

- Advertisement -

অন্যদিকে শনিবার মাইথন ৭০ হাজার কিউসেক জল ছাড়ার পরিকল্পনা নিয়েছে। পাঞ্চেত জল ছাড়ছে ৫৫ হাজার কিউসেক। অর্থাৎ দু’টি ড্যাম মিলিয়ে মোট জল ছাড়া হচ্ছে ১ লক্ষ ২৫ হাজার কিউসেক। শুক্রবার সন্ধ্যায় ১ লক্ষ ৮০ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছিল দুর্গাপুর ব্যারাজ থেকে। মাইথনে জল ছাড়ার পরিমাণ ছিল ১ লক্ষ ১৫ হাজার কিউসেক। পাঞ্চেত জল ছেড়েছিল ৩৫ হাজার কিউসেক। আজ প্রায় ২৫ হাজার কিউসেক কমানো হল জল ছাড়ার পরিমাণ।

আরও পড়ুনঃ সীমান্তে বাড়ছে পথ দুর্ঘটনায, নজরদারির দাবি

এদিকে শনিবারই আকাশপথে বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে যাবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন দুপুর সাড়ে ১১টা হাওড়ার ডুমুরজলা স্টেডিয়াম থেকে উড়ে যাবে মুখ্যমন্ত্রীর কপ্টার। এরপর দুপুর সাড়ে ১২টায় হুগলির আরামবাগে পৌঁছবেন তিনি।

গত কয়েকদিনের লাগাতার বৃষ্টিতে জলমগ্ন দক্ষিণবঙ্গের আট জেলা। সঙ্গে ডিভিসি আর দুর্গাপুর ব্যারেজের জল ছাড়ার কারণে পুজোর মুখে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে হাওড়া, হুগলি, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পূর্ব বর্ধমান, বীরভূমের বিস্তীর্ণ এলাকা। বিঘার পর বিঘা কৃষি জমি জলের তলায়।

এই পরিস্থিতিতে না জানিয়ে জল ছাড়ার কারণে শুক্রবার ডিভিসিকে সরাসরি তোপ দাগেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘পরশুদিন রাতে ঝাড়খণ্ডে প্রচুর বৃষ্টি হয়েছে। আসানসোলে ৩৪৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। রাত তিনটের সময় আমাদের না জানিয়েই জল ছেড়ে দিয়েছে ডিভিসি। ফলে গোটা আসানসোল ডুবে গিয়েছিল। ঝাড়খণ্ড, বিহারে বৃষ্টি হলে আমাদের ভুগতে হচ্ছে। ওরা বাঁধ, খালগুলো পরিষ্কার করলে আরও জল ধরে রাখতে পারত। কথা বলতে বলতে হাপিয়ে গিয়েছি। বার বার প্রতিবাদ করেও কাজ হচ্ছে না।’ হতাশ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বৃষ্টির জন্য বন্যা হলে বুঝতাম। কিন্তু বন্যা হচ্ছে জল ছাড়ার জন্য। এটা ম্যানমেড ফ্লাড।’

অন্যদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘ম্যান মেড’ তত্ত্বকে কটাক্ষ করেন কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী। তিনি বলেন, “ম্যান মেড না রাজ্য সরকারের ব্যর্থতা মেড তা আমরা জানতে পারছি না। ইডি, সিবিআই-এর হাত থেকে বাঁচতে সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছেন। অথচ এত বড় একটা অন্যায়, পশ্চিমবঙ্গকে ডুবিয়ে মারার জন্য বাঁধগুলো থেকে না জানিয়ে জল ছাড়া হচ্ছে, তাতে আদালতে যাচ্ছেন না? কমপক্ষে হাইকোর্টে তো যান! তাহলে আমরা জানতে পারি এটা মানুষের তৈরি বিপদ না এটা ভগবানের তৈরি বিপদ, না এটা পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ব্যর্থতার বিপদ।”