বারাসত: উত্তর ২৪ পরগনার বারাসাত কেন্দ্র৷ এই কেন্দ্রে এদিন ভোট দিতে আসেন বারাসতের তৃণমূল সাংসদ কাকলী ঘোষ দস্তিদার৷ কিন্তু সেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন তিনি৷ তখন কেন্দ্রীয় বাহিনীকে হুমকির সুরে বলেন,শিতলকুচি করার চেষ্টা করবেন না৷
এদিন দিগবেরিয়া সরকারি স্কুলে ভোট দিতে আসেন বারাসতের সাংসদ কাকলী ঘোষ দস্তিদার৷ সেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন তিনি।উচ্চস্বরে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন,বলেন এটা শান্তিপূর্ণ এলাকা ।শিতলকুচি করার চেষ্টা করবেন না।আমি সাংসদ, নিয়ম জানি।শান্তিপূর্ণি ভোট হচ্ছে এবং তৃণমূল কংগ্রেস জয়ী হবে।
এদিকে পঞ্চম দফায় ফের গুলি চালানোর অভিযোগ উঠল কেন্দ্রীয়বাহিনীর বিরুদ্ধে৷ অভিযোগ,উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গা বিধানসভার চাকলা পঞ্চায়েতের ২১৫ নং বুথ কুড়ুল গাছা এলাকায় গুলি চালায় কেন্দ্রীয়বাহিনী৷ এমনটাই অভিযোগ স্থানীয়দের৷ বুথ এলাকায় শূন্যে এক রাউন্ড গুলি চালায় কেন্দ্রীয়বাহিনীর জওয়ানরা৷ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে৷ স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, তাদের উপর লাঠিচার্জও করে কেন্দ্রীয়বাহিনী৷ যদিও কমিশন জানিয়ে দিয়েছে,দেগঙ্গায় কোনও গুলি চলেনি৷
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি বলেন, ‘‘সাত-আটজন বিএসএফ-কেন্দ্রীয় বাহিনী নামল৷ এখানে আমাদের দু’জন শুয়েছিল৷ ওরা তাড়া করল সবাইকে৷ দিয়ে এখানে এসকে ফায়ার করল৷ আমাদের কয়েকজনকে ধানখেত পর্যন্ত তাড়া করে নিয়ে গেল৷ কী কারণে গুলি করল, সেটা আমরা বুঝতে পারছি না৷’’
চতুর্থ দফা নির্বাচনের দিন কোচবিহারের মাটি রক্তে লাল হয়ে উঠেছিল৷ শীতলকুচিতে কেন্দ্রীয়বাহিনীর গুলিতে মৃত্যু হয়েছে চারজনের৷ কোচবিহারের শীতলকুচির জোড়পাটকির ১২৬ নম্বর বুথের বাইরের ঘটনা চালানো হয়েছিল গুলি৷ প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছিল, স্থানীয় হাই মাদ্রাসা স্কুলে রয়েছে তিনটি বুথ৷ সেখানেই বুথের ১০০ মিটারের মধ্যে প্রচুর মানুষ জমা হয়েছিলেন৷
তখনই আচমকা তর্কাতর্কি থেকে বেপরোয়াভাবে গুলি চালাতে শুরু করেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরা৷ বেশ কয়েকজন লুটিয়ে পড়েন৷ ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় জনতা৷ নিহতরা হন হামিদুল হক, হামিউল হক, মনিরুল হক, নূর আলম৷ ঘটনায় আহত হয়েছিলেন আরও চারজন৷