বারাসাতকে শিতলকুচি করার চেষ্টা করবেন না,কেন্দ্রীয় বাহিনীকে হুমকি কাকলীর

শান্তিপূর্ণি ভোট হচ্ছে এবং তৃণমূল কংগ্রেস জয়ী হবে।

0
133

বারাসত: উত্তর ২৪ পরগনার বারাসাত কেন্দ্র৷ এই কেন্দ্রে এদিন ভোট দিতে আসেন বারাসতের তৃণমূল সাংসদ কাকলী ঘোষ দস্তিদার৷ কিন্তু সেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন তিনি৷ তখন কেন্দ্রীয় বাহিনীকে হুমকির সুরে বলেন,শিতলকুচি করার চেষ্টা করবেন না৷

এদিন দিগবেরিয়া সরকারি স্কুলে ভোট দিতে আসেন বারাসতের সাংসদ কাকলী ঘোষ দস্তিদার৷ সেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন তিনি।উচ্চস্বরে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন,বলেন এটা শান্তিপূর্ণ এলাকা ।শিতলকুচি করার চেষ্টা করবেন না।আমি সাংসদ, নিয়ম জানি।শান্তিপূর্ণি ভোট হচ্ছে এবং তৃণমূল কংগ্রেস জয়ী হবে।

- Advertisement -

এদিকে পঞ্চম দফায় ফের গুলি চালানোর অভিযোগ উঠল কেন্দ্রীয়বাহিনীর বিরুদ্ধে৷ অভিযোগ,উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গা বিধানসভার চাকলা পঞ্চায়েতের ২১৫ নং বুথ কুড়ুল গাছা এলাকায় গুলি চালায় কেন্দ্রীয়বাহিনী৷ এমনটাই অভিযোগ স্থানীয়দের৷ বুথ এলাকায় শূন্যে এক রাউন্ড গুলি চালায় কেন্দ্রীয়বাহিনীর জওয়ানরা৷ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে৷ স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, তাদের উপর লাঠিচার্জও করে কেন্দ্রীয়বাহিনী৷ যদিও কমিশন জানিয়ে দিয়েছে,দেগঙ্গায় কোনও গুলি চলেনি৷

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি বলেন, ‘‘সাত-আটজন বিএসএফ-কেন্দ্রীয় বাহিনী নামল৷ এখানে আমাদের দু’জন শুয়েছিল৷ ওরা তাড়া করল সবাইকে৷ দিয়ে এখানে এসকে ফায়ার করল৷ আমাদের কয়েকজনকে ধানখেত পর্যন্ত তাড়া করে নিয়ে গেল৷ কী কারণে গুলি করল, সেটা আমরা বুঝতে পারছি না৷’’

চতুর্থ দফা নির্বাচনের দিন কোচবিহারের মাটি রক্তে লাল হয়ে উঠেছিল৷ শীতলকুচিতে কেন্দ্রীয়বাহিনীর গুলিতে মৃত্যু হয়েছে চারজনের৷ কোচবিহারের শীতলকুচির জোড়পাটকির ১২৬ নম্বর বুথের বাইরের ঘটনা চালানো হয়েছিল গুলি৷ প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছিল, স্থানীয় হাই মাদ্রাসা স্কুলে রয়েছে তিনটি বুথ৷ সেখানেই বুথের ১০০ মিটারের মধ্যে প্রচুর মানুষ জমা হয়েছিলেন৷

তখনই আচমকা তর্কাতর্কি থেকে বেপরোয়াভাবে গুলি চালাতে শুরু করেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরা৷ বেশ কয়েকজন লুটিয়ে পড়েন৷ ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় জনতা৷ নিহতরা হন হামিদুল হক, হামিউল হক, মনিরুল হক, নূর আলম৷ ঘটনায় আহত হয়েছিলেন আরও চারজন৷