বাজারে মিলছে না করোনার বিশেষ ওষুধ

0
255

তিমিরকান্তি পতি, বাঁকুড়া: বেড়েই চলেছে করোনা সংক্রমণের হার৷ এই অবস্থায় বাঁকুড়া জেলা জুড়ে এক শ্রেণির বিশেষ ওষুধের যোগান প্রায় নেই বললেই চলে। আর এই ঘটনার জন্য আতঙ্কিত সাধারণ মানুষের বাড়িতে ওষুধ মজুত রাখার প্রবণতাকেই মূলতঃ দায়ী করছেন ব্যবসায়ীরা।

আরও পড়ুন: রীতিমেনে বাড়িতেই ঈদের সেমাই বানাচ্ছেন মহিলারা

- Advertisement -

ওষুধ ব্যবসায়ীদের দাবি, এই মুহূর্তে জেলায় ডক্সিসাইক্লিন, এজিথ্রোমাইশিন, ভিটিমিন সি জাতীয় ওষুধ, ডক্সিসাইটিনের বিপুল চাহিদা রয়েছে। এই ওষুধগুলির জন্য প্রতিদিন প্রচুর মানুষ দোকানে ভিড় করছেন৷ ওষুধ ক্রেতা স্বপন কুমার চন্দ্র, কৃষ্ণকান্ত দে’রা বলেন, করোনাকালে ভিটামিন সি ও জিঙ্ক জাতীয় যে সব ওষুধ মানুষের মুখে মুখে ফিরছে সেই সবগুলি এই মুহূর্তে বাজারে প্রায় নেই বললেই চলে৷ ফলে আমাদের মধ্যে আতঙ্ক আরও বাড়ছে৷’’

বাঁকুড়া শহরের এক ওষুধ বিক্রেতা বাজারে ওষুধের ঘাটতি আছে তা মানতে চাননি। তিনি বলেন, কম বেশী সব ওষুধই পাওয়া যাচ্ছে। তবে এই মুহূর্তে বিশেষ কিছু ধরণের ওষুধ বাড়িতে সংগ্রহ করে রাখার প্রবণতা তৈরি হয়েছে। তবে ড্রাগ কন্ট্রোলের নির্দেশ মতো বিনা প্রেসক্রিপশানে তারা কাউকে ওষুধ বিক্রি করছেন না বলে তিনি জানান।

এবিষয়ে বেঙ্গল কেমিষ্ট এণ্ড ড্রাগিষ্ট অ্যাসোসিয়েশনের বাঁকুড়া জেলা সভাপতি দিলীপ আগরওল বলেন, এই মুহূর্তে এক দিকে সাধারণ মানুষের ওষুধ বাড়িতে মজুত রাখার প্রবণতা, অন্যদিকে বিশেষ এক ধরণের ওষুধের চাহিদা বেড়েছে, যা ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলি সেভাবে এখন আর উৎপাদন করে না। পরিস্থিতির বিচারে তারা সংগঠনের তরফে জেলার প্রতিটি ডিস্ট্রিবিউটরকে ওষুধের মজুত ও বিক্রির হিসাব প্রতিদিন ড্রাগ কন্ট্রোল বিভাগকে জানানোর নির্দেশিকা জারি করেছেন। একই সঙ্গে বিনা প্রেসক্রিপশানে ওষুধ না বিক্রির করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।