কোন্নগরে হোলি উৎসবের নামে বাঙালি মহিলাকে হেনস্থা, প্রতিবাদে বাংলাপক্ষ

0
2019

চুঁচুড়া: বাঙালির উৎসব দোল। আর হোলি হচ্ছে অবাঙালিদের উৎসব। এই নিয়ে দিন কয়েক ধরে প্রচার চালিয়েছিল বাংলাপক্ষ। হোলির দিনে বাঙালিকে অবাঙালিদের দ্বারা হেনস্থার শিকার হতে হলে পালটা জবাব দেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছিল ভারতে বাঙালির জাতীয় সংগঠনের পক্ষ থেকে। কথা আনুযায়ী কাজ করে দেখাল বাংলাপক্ষ।

আরও পড়ুন- নন্দীগ্রামে ঢুকে পড়েছে দুষ্কৃতী,নির্বাচন কমিশনে নালিশ তৃণমূলের

- Advertisement -

অবাঙালি কর্তৃক অনিচ্ছুক বাঙালিকে বলপূর্বক রঙ দেওয়ার চেষ্টা। হোলি উৎসবের অজুহাতে অসুস্থ মহিলার উপরে হেনস্থা চালানো এবং বাঙালি জাতি তুলে হুমকি দেওয়ার ঘটনা জানতে পেরেই প্রতিবাদে সামিল হল বাংলাপক্ষ। দীর্ঘক্ষণ সময়ে দলল বিক্ষোভ।

আরও পড়ুন- কসবায় বিজেপির পার্টি অফিস ভাঙচুরে অভিযুক্ত তৃণমূল

ঘটনাটি ঘটেছে হুগলী জেলার কোন্নগর এলাকায়। হাওড়া-ব্যান্ডেল শাখার কোনগর স্টেশনের পশ্চিম দিকে নবগ্রাম এলাকায় অবস্থিত মধুবনী কমপ্লেক্সে বেশ কয়েকটি অবাঙালি পরিবার বসবাস করে। তাদের মধ্যে থেকেই অভিষেক মিশ্র নামক এক অবাঙালি ব্যক্তি স্থানীয় বাঙালি পরিবারের মহিলাদের হেনস্থা করেছে হোলির অছিলায়। এমনই অভিযোগ করা হয়েছে।

আরও দাবি করা হয়েছে যে বাঙালি হিসেবে থাকতে হলে বাড়ির সামনে তা বোর্ড ঝুলিয়ে লিখে দিতে হবে। ওই এলাকায় থাকতে হলে অবাঙালিদের মতো হোলি খেলাও বাধ্যতামূলক বলে হুমকি দেওয়া হয়। এরই প্রতিবাদে বিক্ষোভে সামিল হয় বাংলাপক্ষ। সরাসরি অভিযুক্তের আবাসনের সামনে গিয়ে দেখানো হয় বিক্ষোভ। প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে বিক্ষোভ দেখান বাংলাপক্ষের সহযোদ্ধারা।

আরও পড়ুন- ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি: রাজ্যে অ্যাক্টিভ আক্রান্তের সংখ্যাটা ছাড়াল ৫০০০

এই বিষয়ে ওই সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে কোন্নগরের নবগ্রামে মধুবনী কমপ্লেক্সে হোলির দিল বহিরাগতরা বাঙালি নারীকে টেনে হেঁচড়ে বের করে রঙ মাখায়, হেনস্থা করে। বলে “ইধার রহনা হ্যায় তো হোলি খেলনা হ্যায়। ইধার রাজ চলেগা। বাঙালি লিখ দিজিয়ে আপনা নেমপ্লেট মে।”

আরও পড়ুন- নন্দীগ্রাম তরজার মাঝেই রাজ্যবাসীকে বার্তা দিলেন বুদ্ধদেব

এদিনের বিক্ষোভে উপস্থিত ছিলেন বাংলাপক্ষের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক ডঃ গর্গ চট্টোপাধ্যায়, কৌশিক মাইতি এবং অন্যান্যরা। এই বিক্ষোভের বিষয়ে কৌশিক বলেছেন, “বাঙালিকে বলছে যে হোলি খেলতেই হবে। বাংলার মাটিতে বাঙালিকে বাড়ির সামনে বোর্ড টাঙ্গিয়ে জানাতে হবে যে বাঙালি। আবার হুমকি দেওয়া হয়েছে যে ২মে-র পরে দেখে নেব। অভিযুক্তের নামে এফআইআর করা হয়েছে। ওই বহিরাগত জন্তুকে বুঝিয়ে দেওয়া হল যে বাংলার মাটিতে হোলির নামে বাঙালি নারীকে হেনস্থা করা যাবে না। এটা ইউপি বা বিহার না।”