নিজস্ব সংবাদদাতা, মেদিনীপুর: সদ্য বিবাহিত গৃহবধূকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারার চেষ্টার অভিযোগ শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের বিরুদ্ধে। বাপের বাড়ি থেকে দাবি মতো পণের টাকা না পেয়েই তাঁকে খুন করার চেষ্টা। অগ্নিদগ্ধা গৃহবধূর বাপের বাড়ির অভিযোগের ভিত্তিতে শ্বশুরবাড়ির দুই সদস্যকে গ্রেফতার করল পুলিশ।
চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পটাশপুর থানার বুলাকিপুর গ্রামে। শুক্রবার রাতে পটাশপুর থানার পুলিশ ভাসুর কানাইলাল দাস অধিকারী ও জা নীলিমা দাস অধিকারীকে গ্রেফতার করে। ঘটনায় পরিবারের বাকি সদস্যরা পলাতক রয়েছে বলে পুলিশের দাবি। অগ্নিদগ্ধা গৃহবধূ হাসপাতালে সংকটজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত কয়েক বছর আগে পটাশপুর তরাট গ্রামের ছায়া নামে এক যুবতীর সঙ্গে বুলাকিপুর গ্রামের রবীন্দ্রনাথের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই পারিবারিক বিষয় নিয়ে গৃহবধূর উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাত শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা। এমনটাই অভিযোগ করা হয়েছে। এই নির্যাতন নিয়ে কয়েকবার গ্রামে সালিশি সভাও বসে। কিন্তু তাতেও কোনও সমাধান সূত্র বের হয়নি। গত বুধবার তাঁর বাড়ি থেকে ছায়ারানী দাস অধিকারীকে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে পটাশপুর গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করে তাঁর পরিবারের সদস্যরা।
ঘটনার খবর পেয়ে হাসপাতালের হাজির হয় ওই গৃহবধূর বাপের বাড়ির সদস্যরা। অবস্থার অবনতি হলে গৃহবধূকে এগরা মহকুমা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করেন চিকিৎসক।এ খন সংকটজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এরপর পটাশপুর থানায় গৃহবধূর বাপের বাড়ির সদস্যরা একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে শুক্রবার রাতে অভিযান চালিয়ে ভাসুর ও জাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। শনিবার অভিযুক্তদের কাঁথি মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক তাদের জামিন নাকচ করে হাজতবাসের নির্দেশ দেন।