কল খুলতেই বেরোচ্ছে ঘোলা জল, আতঙ্ক কলকাতা ও শহরতলির বাসিন্দারা

0
157

খাস খবর ডেস্ক: জমা জলেই যত বিপত্তি। কল খুললেই বেরিয়ে আসছে সাবান ধোয়া জলের মত ঘোলা জল। কলকাতা-সহ আশপাশের বেশ কয়েকটি পুরসভায় এই সমস্যা দেখা দিয়েছে। আর সেজন্য দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশনকে দায়ী করলেন কলকাতা পুরনিগমের প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান ফিরহাদ হাকিম।

আরও পড়ুনঃ দিদির জয়ে আপ্লুত কর্মীরা আস্ত দোকানটাকেই তুলে আনলেন, হল মিষ্টি-মুখ

- Advertisement -

ঘোলা জলের জন্য ডিভিসিকে দায়ী করেছেন কলকাতা পুরনিগমের প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান। তাঁর দাবি, ডিভিসি জল ছাড়ার ফলে গঙ্গার জলস্তর বেড়ে গিয়েছে। জলের মধ্যে মাটির পরিমাণ বেড়ে গিয়েছে। তার ফলে জলের মান খারাপ হয়ে পড়েছে। সেই জল পরিশোধন করার প্ল্যান্টে দিলেও কোনও লাভ হচ্ছে না। উলটে প্ল্যান্টের মেশিনে মাটি ঢুকে বিপত্তি দেখা গিয়েছে। সেজন্য ঘোলাটে জল আসছে। পরিস্থিতির মোকাবিলায় কয়েকদিন জলের সরবরাহ কম করা হবে। ততদিন কলকাতায় জলের প্রেশার কিছুটা কম থাকবে। ঘোলা জলের সমস্যা দূর করতে জোয়ারের সময় গঙ্গার উপরিভাগের জল নেওয়া হবে। দু’তিনদিনের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে বলে আশাপ্রকাশ করেছেন ফিরহাদ।

আরও পড়ুনঃ এখনও জলবন্দি ঘাটাল, সেনা নামানোর সিদ্ধান্ত রাজ্যের

পাশাপাশি এদিন ফিরহাদ হাকিম জানান, পাশের রাজ্যেও একই সমস্যা দেখা দিয়েছে। যারা গঙ্গার থেকে জল নেয়। ঘোলা জল আসছে। কালো জল আসছে। পলির পরমাণ অনেক বেশি। তবে ফিরহাদ আশ্বাস দিয়েছেন, সোমবারের জল খাওয়া যাবে। সকালের দিকে ঘোলা জল থাকতে পারে। তবে জলের চাপ কম থাকবে। ৫০ শতাংশ জল সরবাহর করতে পারব। সোম-মঙ্গল-বুধবার জল সরবরাহের পরিমাণ কম থকবে।

রবিবার থেকেই উত্তর কলকাতার বিস্তীর্ণ এলাকায় পুরসভার কল থেকে ঘোলা জল বেরিয়ে আসছে। একই ছবি ধরা পড়েছে উল্টোডাঙাতেও। কল খুললেই সাবান ধোয়া জলের মতো ঘোলা জল বেরিয়ে আসছে বলে দাবি করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বিকেলের দিকে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও এখনও ঘোলা জল মিলছে। সেই পরিস্থিতিতে পুরসভার কলের পানীয় জল না খাওয়ার জন্য উল্টোডাঙায় প্রচারও চালানো হয়েছে।

তবে শুধু উত্তর কলকাতা নয়, ঘোলা জলের সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন হুগলির শ্রীরামপুরের বাসিন্দারাও। রবিবার পুরসভা কল থেকে ঘোলা জল বেরোতে থাকে। তার জেরে বন্ধ দেওয়া হয়েছে সরবরাহ। সেই ঘোলাটে জল পান না করার জন্য পুরসভার তরফে প্রচার চালানো হচ্ছে।

হুগলি জেলা প্রশাসন থেকেও একই কথা জানানো হয়েছে। তাঁরা জানাচ্ছেন, কেএমডবিলুএসএ-র ইঞ্জিনিয়াররা যতক্ষণ না পরামর্শ দেবেন, আপনারা সেই খাওয়ার জল হিসেবে ব্যবহার করবেন না। যে গুণমান থাকা দরকার, তা ঠিক নেই। তাঁরা আপ্রাণ চেষ্টা করছেন।