নিজস্ব সংবাদদাতা, তমলুক: কলেজে অতিথি শিক্ষকদের স্থায়ীকরণ ও ভবন নির্মাণে লক্ষ লক্ষ টাকার দুর্নীতি করেছে কলেজের অধ্যক্ষ, এমন অভিযোগ করল তৃণমূল ছাত্র সংগঠনের টিএমসিপি। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কাঁথি দেশপ্রাণ কলেজের ঘটনা। এই ঘটনার প্রকাশ্যের আসার পরেই রীতিমত রাজনৈতিক মহলে শোরগোল পড়েছে।
জানা গিয়েছে, কলেজর পরিচালন কমিটির সভাপতির পদে ছিলেন তমলুকে তৃনমূল কংগ্রেস সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী। এনিয়ে কাঁথি দুরমুঠ দেশপ্রাণ মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ রাজ্যের দুনীতি দমন শাখায় লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন টিএমসিপি সংগঠনের সদস্য।
এরপর কলেজ বছর দুয়েক বাদে দুরমুট নব নির্মিত একতালা ভবনে কলেজটি স্থানান্তরিত করা হয়। কলেজটি দ্বিতল ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়। কিন্তু সেই কাজের জন্য কোনও দরপত্র ডাকা হয়নি বলে অভিযোগ। এই ভবন নির্মাণের কাজ পরিচালন কমিটির এক আত্মীয় পেয়েছেন বলে কলেজর টিএমটিপি নেতৃত্বের অভিযোগ।
অপর দিকে, কলেজে চারজন পার্শ্ব শিক্ষক এবং কুড়ি জন অতিথি শিক্ষক রাজ্য সরকারের নির্দেশ মেনে সম্প্রতি স্টেট এডেড কলেজ টিচার হিসাবে অন্তর্ভূত করা হয়েছে। সেক্ষেত্রে অতিথি শিক্ষকদের স্থায়ীকরণের জন্য কলেজের অধ্যক্ষ সুবিকাশ জানা ও জনৈক অশিক্ষক কর্মীদের লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
এবিষয়ে দেশপ্রাণ কলেজে টিএমসিপি-র ইউনিট সভাপতি নিমাই দাস বলেন, “কোনও আর্থিক দুর্নীতির সঙ্গে আমরা আপোষ করতে রাজি নয়। তাই কলেজের ভবনে নির্মাণ এবং অতিথি শিক্ষকদের স্থায়ীকরণে নামে কোটি কোটি টাকা দুর্নীতি অভিযোগ করে তার তদন্তের দাবি জানাচ্ছি। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী ও আর্থিক দুর্নীতি দমন শাখায় লিখিত ভাবে অভিযোগও জানানো হয়েছে”। আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ প্রসঙ্গে দুরমুট দেশপ্রাণ মহাবিদ্যালয়ে কলেজের অধ্যক্ষ সুবিকাশ জানাকে ফোন করা হলে তিনি ধরেননি। তাই তাঁর কোন প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি।