স্বাস্থ্যবিধি মেনে সম্পূর্ণ হয়েছে আগমেশ্বরীকালী পুজো, খুশি নদিয়া পুলিশ

0
42

নিজস্ব সংবাদদাতা, নদিয়া: কোভিভ পরিস্থিতিতে কঠোর নজরদারিতে প্রায় ৩৭০ বছরের প্রাচীন কৃষ্ণানন্দ আগমবাগিশের আগমেশ্বরীকালী মাতার পুজো স্বাস্থ্যবিধি মেনেই সম্পূর্ণ হওয়েছে৷ তাই রীতিমতো খুশি পুলিশ প্রশাসন থেকে শুরু করে স্থানীয় বাসিন্দারা। বৈষ্ণবনগরী নবদ্বীপে আসন্ন ঐতিহ্যপূর্ণ রাসের মহড়া হয়ে গেল বলে মনে করছেন পুলিশ প্রশাসন থেকে শুরু করে অধিকাংশ নবদ্বীপবাসী।

কৃষ্ণানন্দের কল্পনায় তৈরি এই কালীমূর্তি। ঘরে ঘরে দক্ষিণা কালী মূর্তি পুজোর সূচনা করেন কৃষ্ণানন্দের আগমবাগীশ। নবদ্বীপবাসীর কাছে আগমেশ্বরী মায়ের প্রতি শ্রদ্ধা অপরিসীম। প্রতিবছরই পূজা মণ্ডপে দেবী দর্শন ভিড় করেন হাজার হাজার দর্শনার্থী। একে করোনা পরিস্থিতি তার মধ্যে প্রাচীন এই শহর রাস্তাঘাট সংকীর্ণ এই দুয়ের জেরে রীতিমত চিন্তায় ছিল প্রশাসন।

- Advertisement -

যেভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রশাসনিক তৎপরতায় ঐতিহ্যপূর্ণ পূজা সম্পূর্ণ হল তাতে রীতিমত সফল পুলিশ প্রশাসন। আগমবাগিশের বংশের উত্তরসূরি বর্তমান সেবায়েত, স্থানীয় আগমেশ্বরী বাজার কমিটির সহযোগিতা এবং পুলিশ প্রশাসনের তদারকিতে পুজো সম্পূর্ণ করা হয়েছে বলে দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের। তাতে আসন্ন নবদ্বীপের ঐতিহ্যপূর্ণ রাস উৎসব করোনা পরিস্থিতিতে এভাবেই সম্পূর্ন করা যাবে বলে নিশ্চিত পুলিশ প্রশাসন থেকে নবদ্বীপের একশ্রেণির মানুষ।

কোভিড পরিস্থিতিতে সরকারি নির্দেশ মেনে দর্শনার্থীদের মাস্ক এবং স্যানিটাইজার ব্যবহারের বিধি মেনেছেন। সেক্ষেত্রে অনেকটাই সফল পুজো কমিটি এবং পুলিশ প্রশাসন। নবদ্বীপের আগমবাগিশের বংশধর আগমেশ্বরীমাতার সেবাযেত রমা সান্যাল এবং পূরবী সান্যালরা পুজোর আগের দিন থেকে মাইককে প্রচার করেছিলেন এবছর কোন মতেই ভিড় করা যাবে না। স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে।

সেই মতো সহযোগিতা করেছেন দর্শনার্থীরা। তবে পুজো যাতে স্বাস্থ্য বিধি মেনে করা যায় সেজন্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে ছিলেন আগমেশ্বরীপাড়া বাজার কমিটিও। সভাপতি হিমাংশু সাহা জানান, সেবায়েতদের পক্ষ থেকে মাইকে প্রচার করা হয়। পুজোর দিন অর্থাৎ শনিবার সকাল থেকে বিকাল চারটের মধ্যে স্বাস্থ্য বিধি মেনে পুজো দিতে পারবেন ভক্তরা।

নবদ্বীপ থানার আই সি কল্লোল ঘোষ এই পুজোর জন্য সেবায়েত এবং আগমেশ্বরীপাড়া বাজার কমিটির সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে ছিলেন। কিভাবে এই পুজো করা সম্ভব হয় বলে জানান হিমাংশুবাবু।
নবদ্বীপবাসী সহযোগীতায় কোভিড পরিস্থিতিতে এভাবে পুজো সম্পূর্ণ করা সম্ভব হল তাতে রাসের আগে অনেকটাই খুশি প্রশাসনিক কর্তারা।

চিরাচরিত প্রথা মেনে এবার দেবীকে যে ঘাটে প্রতি বছর বিসর্জন দেওয়া হয়। এবার নানা কারণে সেই ঘাটে বিসর্জন দেওয়া সম্ভব হয়নি। বেয়ারাদের কাঁধে চেপে রবিবার দুপুরে বিসর্জন দেওয়া হল পুরসভার নিধারিত বিসর্জন ঘাটে।