সেবাতেই আনন্দ খুঁজে পাচ্ছেন কল্পতরু প্রকল্পের শ্রষ্ঠা অভিষেক

0
302

ডায়মন্ড হারবার: আট দিন ধরে নিজের সংসদীয় এলাকার দুঃস্থ মানুষদের মুখে অন্ন তুলে দিচ্ছেন ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্রের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর এই নয়া প্রকল্পের নাম কল্পতরু। বাংলার প্রতিটি প্রান্তে বেশ জনপ্রিয় হয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই কল্পতরু প্রকল্প। অনেক জায়গাতেই তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতির অনুপ্রেরণায় চালু হয়েছে এই কল্পতরু।

এই মানব সেবার মধ্যেই এক আনন্দ খুঁজে পেয়েছেন সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। যা তিনি লুকিয়ে রাখেননি। নিজের এই মনোভাব ভাগ করে নিয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। রবি ঠাকুরের লাইন উদ্ধৃত করে অভিষেক লিখেছেন, “আমি ঘুমিয়েছি এবং স্বপ্ন দেখেছিলাম যে জীবনটি আনন্দময় ছিল। আমি জেগে উঠে দেখলাম যে জীবনটিই সেবা। আমি অভিনয় করেছি এবং দেখেছি যে সেবাই হচ্ছে আনন্দ”

- Advertisement -

লকডাউনের দিনগুলিতে ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রের দুঃস্থ মানুষের খাবার দায়িত্ব নিয়েছিলেন ওই কেন্দ্রের সাংসদ তথা যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। লক্ষ্য ছিল দিনে ৪০ হাজার মানুষের মুখে অন্ন তুলে দেওয়া। যদিও বাস্তব ছবিটা ছিল অন্যরকম।

প্রথম দিনে খাবার পেয়েছিলেন ৫৭ হাজার ৮৫৫ জন মানুষ। যা লক্ষ্যমাত্রার থেকে ৪০ শতাংশের বেশি ছিল। আর দ্বিতীয় দিনে সেই সংখ্যা পৌঁছে গিয়েছে ৮১ হাজার ৫২৬ জনে। তৃতীয় দিনে সংখ্যাটা ছিল ৭৯ হাজার ৭৪১। পরের তিন দিনে সেই সংখ্যা ছিল যথাক্রমে ৮৫ হাজার ৫০০, ৯১ হাজার ১৫৯ এবং ৯৭ হাজার ৯৭ জন।

এভাবেই বাড়ছিল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কল্পতরু প্রকল্পের মাধ্যমে সুবিধা প্রাপ্ত মানুষের সংখ্যা। সপ্তম দিনে সংখ্যাটা ছাপিয়ে গেল এক লক্ষ। ওই দিনে মোট এক লক্ষ দুই হাজার ৩৫২ জন মানুষের কাছে খাবার পৌঁছে দেওয়া হয়। রবিবার অষ্টম দিনে সেই সংখ্যাটা হয় এক লক্ষ ১৬ হাজার ৬৪ জন। এখনও পর্যন্ত সাত লক্ষ ১১ হাজার ৩৪৪টি খাবারের প্যাকেট বিলি করা হয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কল্পতরু প্রকল্পের অধীনে। সেই পরিসংখ্যান তুলে ধরে টুইট করেছেন ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্রের সাংসদ।

চলতি মাসের গত ১২ তারিখ থেকে শুরু হয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কল্পতরু প্রকল্প। ২১টি কমিউনিটি কিচেনে হচ্ছে রান্না। সেখান থেকেই গাড়িতে করে খাবার পৌঁছে দেওয়া হয় বিভিন্ন জায়গায়। যেখানে রান্না এবং খাবার টিফিন বক্সে ভরা হয়েছে সেখানে সামাজিক কর্মীরা বজায় রেখেছিলেন সামাজিক দূরত্ব। সকলেই মুখেই ছিল এবং হাতে গ্লাভস। অনেক জায়গায় আবার চিকিৎসকেরাও ছিলেন। দ্বিতীয় দিন থেকে কর্মীদের মাথাও ঢাকা রাখতে দেখা গিয়েছে।