গুরুত্ব পাক কৃষি ও কৃষক, ভোটগ্রহণপর্ব মিটতেই পুরনো ছন্দে কৃষককূল

0
49

বিক্রম কর্মকার, তেলিয়ামুড়া: ভোটগ্রহণ পর্ব মিটতেই ফের পুরনো ছন্দে ত্রিপুরার খোয়াই জেলার তেলিয়ামুড়া(Teliamura) মহকুমা। আগরতলা(Agartala) থেকে কমবেশি ৪৫ কিলোমিটার দূরের এই মহকুমা শহরে বেশির ভাগ মানুষই কৃষিকাজের(farming) সঙ্গে যুক্ত। রাজনৈতিক পালাবদলের জোর জল্পনার মাঝেও নিজেদের দৈনন্দিন কাজকর্মে কিন্তু কোনও ভাটা পড়েনি এখানে।

৬০ বিধানসভার ত্রিপুরায় গত ১৬ ফেব্রুয়ারি হয়েছে ভোটগ্রহণ। উত্তরপূর্বের রাজ্যে ভোটগ্রহণের হার রীতিমতো অবাক করারই মতো। নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, তেইশের বিধানসভা নির্বাচনে ৮৬ শতাংশের বেশি ভোটার তাঁদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করেছেন। আর ইভিএম বন্দি সেই ভোটের একটা বড়ই অংশই কিন্তু কৃষিকাজের(farming) সঙ্গে যুক্ত ভোটারদের।

- Advertisement -

আরও পড়ুন:https://www.khaskhobor.com/tripura-assembly/tripura-election2023-demand-for-repoll-rejected-3-tier-security-at-strong-room-says-ceo-kirankumar-gitte/

স্বভাবতই তেইশের বিধানসভা নির্বাচনে কৃষির (farming) সঙ্গে যুক্ত কৃষকদের ভোটের উপর দাঁড়িয়ে রাজ্যের শাসক দল বিজেপি কিংবা বিরোধী বাম-কংগ্রেস প্রার্থীদের ভাগ্য। ক্ষমতা ধরে রাখা না কি রাজনৈতিক পালাবদল তা জানা যাবে আগামী ২ মার্চ ভোটগণনার দিনে। উত্তরপূর্বের ভোটমুখী ৩ রাজ্যেরই সেদিনই একসঙ্গে ভোটগণনা।

ভোটগ্রহণ পর্বের ব্যস্ততায় মাঠে রোপন করা ফসলের তদারকিতে বিস্তর ফাঁক থেকে ছিল৷ তাই ১৬ ফেব্রুয়ারি ভোটমিটতেই জোরকদমে ক্ষেতের কাজে (farming) নেমে পড়েছেন কৃষকরা৷ তেলিয়ামুড়া মহকুমার বিভিন্ন এলাকার মধ্যে বাইশঘরিয়া, ব্রম্মছড়া , মোহরছড়া, মহারানীপুর, কৃষ্ণপুর,চাকমাঘাট, এই সব এলাকাতে বেশি করে সব্জির চাষ( vegetable farming) করতে দেখা যায় কৃষকদের।

৬ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে বিঘের পর বিঘে জুড়ে কোথাও শসা ক্ষেত৷ কোথাও সিম৷ কোথাও আবার লাউ, টমেটো, কুমড়ো কিংবা ঢেঁড়শের ক্ষেত৷ কমবেশি প্রতিটি শসা গাছেই ঝুলছে হলুদ ফুল৷ কোথাও ধরেছে ছোট ছোট ফলও৷ গাছের গোড়ায় নিড়ানি দিয়ে খুসিয়ে সার কিংবা জল দেওয়ার কাজও চলছে জোরকদমে৷ আর বছরই বেশির ভাগ দিনে এমন ব্যস্ততায় তাঁদের দিন কাটে ক্ষেতের কাজে ((farming)৷

তেলিয়ামুড়া মহকুমার বেশিরভাগ সাধারণ মানুষ কৃষিনির্ভর। অন্যের জমি নিয়েও সব্জি চাষ করেন অনেকে৷ কারণ একমাত্র কৃষিকাজেই(farming) তাঁরা বেশ পারদর্শী৷ তেলিয়ামুড়া মহকুমার চাকমাঘাট মেথারাই বাড়ি এলাকায় কৃষক উত্তম মগ একজন ভাগচাষী তিনি জানালেন অন্যান্য বছরের মত এবছরও সব্জি চাষ করেছেন৷

নিজের জমি পর্যাপ্ত পরিমান না থাকায় অন্যের জমিতে চাষ করেন ষাট পার করা ভাগচাষী উত্তম। এবছর বেশ ভাল ফলন হবে বলে তাঁর প্রত্যাশা। তবে সার ও কীটনাশের দাম যে ভাবে বেড়েছে তাতে সরকারি সহায়তা না পেলে farming বেশ কষ্টকর বলেই জানিয়েছেন৷

দোসরা মার্চের ভোটগণনায় যে দলই জিতুক, তারা যেন Farmer এবং Farming-কে বাড়তি গুরুত্ব দেয়। এটুকুই প্রত্যাশা উত্তম মগদের মতো ত্রিপুরার কৃষকদের৷