বঙ্গক্রিকেটে শোকের ছায়া, চলে গেলেন মনোজ-দিন্দাদের সতীর্থ

0
91

খাস খবর ডেস্ক: বছর ঘোরার আগে আরো একটি খারাপ খবর ক্রীড়াপ্রেমীদের জন্য। মাত্র ৪৫ বছরেই প্রয়াত হলেন বাংলার সাবেক ক্রিকেটার মুর্তাজা লোধগার। বিশাখাপত্তনমের একটি হোটেলে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর‌ মৃত্যু ঘটেছে।

মনোজ-দিন্দাদের এককালের সতীর্থ মুর্তাজা। বাঁহাতি স্পিনার ছিলেন। বাংলার হয়ে রঞ্জি ট্রফির ফাইনালও খেলেছেন। খেলা ছাড়ার পর দীর্ঘ কয়েক বছর বাংলার প্রমীলা ব্রিগেডের দায়িত্ব সামলাতে দেখা গিয়েছে মুর্তাজাকে। হালে তিনি ছিলেন অনূর্ধ্ব-১৯ মিজোরাম দলের কোচ। সেই সুবাদে বিনু মানকড় ট্রফি খেলতে উপস্থিত হন বিশাখাপত্তনমে। শুক্রবার রাতে সেখানেই জীবনদীপ নিভে গেল মুর্তাজার।

- Advertisement -

জানা যাচ্ছে, নৈশভোজের পর রুটিনমাফিক হাঁটাহাঁটি করছিলেন তিনি। তখনই হঠাৎ বুকের বাঁদিকে চিনচিনে ব্যাথা অনুভব হয়। এরপর আর সময় পাওয়া যায়নি। নিমেষেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন এই রঞ্জি ফাইনালিস্ট। পরে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়।

আরও পড়ুন: রবি শাস্ত্রীর বইপ্রকাশে মাস্ক পরেননি বিরাটরা, অভিযোগ দিলীপ দোশীর

বাংলার হয়ে সার্বিকভাবে ৯টি প্রথম শ্রেণীর ম্যাচে ৩৪টি উইকেট নিয়েছেন মুর্তাজা। এছাড়া খেলেছেন ৫টি লিস্ট-এ ম্যাচও। ময়দানে পরিচিত ছিলেন ‘মুর্তু’ নামে। তাঁর অকালপ্রয়াণে সিএবিতে শোকের ছায়া। সভাপতি অভিষেক ডালমিয়া জানান মিজোরাম ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সহযোগিতায় যত দ্রুত সম্ভব মুর্তাজার মরদেহ কলকাতায় নিয়ে আসা হচ্ছে।

বলেন, “ওঁর স্মরণে সিএবির পতাকা আজ অর্ধনমিত করে রাখা হবে। পাশাপাশি বেঙ্গল টি-টোয়েন্টি চ্যালেঞ্জে আজ কালো আর্মব্যান্ড পরে নামা হবে।” সিএবি সচিব স্নেহাশীষ গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রতিক্রিয়া, “বিশ্বাসই করতে পারছি না যে মুর্তু আর নেই। মাত্র ৪৫ বছর বয়স হয়েছিল ওর। জীবন সত্যিই অনিশ্চিত।” আরো বলেন, “আমরা তো কিছুদিন ধরেই ভাবছিলাম কীভাবে ওকে আবার বাংলা ক্রিকেটে ফেরত আনা যায়। ওর পরিবারের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।”