মহাদেশীয় চ্যাম্পিয়নরা বিশ্বকাপে বেকায়দায়, এ কিসের ইঙ্গিত কাতারে

0
51

বিশ্বদীপ ব্যানার্জি: কাতারে চলছে ২২ তম ফিফা বিশ্বকাপ। এই বিশ্বকাপে শুরু থেকেই বাজছে অন্য সুর। যা যা আপাতদৃষ্টিতে অসম্ভব বা আগে কখনও ঘটতে দেখা যায়নি বিশ্বকাপের মঞ্চে, তা-ই ঘটছে চলতি প্রতিযোগিতায়। তবে এবারে খেলার মাঠে যে দৃষ্টান্ত স্থাপন হল বিশ্বকাপের প্রথম তিনদিনে, তা সত্যিই চিন্তায় দিয়েছে বিশেষজ্ঞদের।

আরও পড়ুন: আজ বিশ্বকাপে নামছে চার হেভিওয়েট দল 

- Advertisement -

মহাদেশীয় প্রতিযোগিতায় যারা বর্তমানে চ্যাম্পিয়ন, সেইসব দলগুলি বিশ্বকাপের মঞ্চে রীতিমত বেকায়দায়। অন্ততঃ বিশ্বকাপের প্রথম তিনদিনে তেমনটাই পরিলক্ষিত। সদ্য আগের বছরই কোপা আমেরিকা জয় করেছে মেসির আর্জেন্টিনা। কাতারে চলতি বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে সৌদি আরবের কাছে হেরে তারা এ মুহূর্তে কার্যত ব্যাকফুটে। মেসিরা যে পরের পর্বে পৌঁছবেন, সে বিষয়ে নিশ্চয়তা স্বয়ং ঈশ্বর-ও দিতে পারছেন না।

একই হাল এশিয়া এবং আফ্রিকা চ্যাম্পিয়নদের-ও। কাতার শুধু প্রতিযোগিতার স্বাগতিক দেশই নয়। বর্তমানে এশিয়ান কাপ বিজেতাও। তারা ইকুয়েডরের কাছে প্রথম ম্যাচ হেরে গ্রুপ পর্ব থেকেই ছিটকে যাওয়ার পথে। অন্যদিকে আফ্রিকা নেশনস কাপজয়ী সেনেগাল বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম খেলা হেরেছে নেদারল্যান্ডসের কাছে।

এ তো গেল এশিয়া, আফ্রিকা এবং লাতিন আমেরিকার বিজয়ীদের কথা। বর্তমানে গতিময় ফুটবলের জন্য বিশ্বকাপের সবথেকে দাবিদার ইউরোপ। সেই ইউরোপের সেরারা তো কোয়ালিফাই-ই করতে পারেনি চলতি বিশ্বকাপের মূল পর্বে। ২০২১ সালে ইউরো কাপ জয় করে ইতালি। কিন্তু তারা টানা দুটি বিশ্বকাপের মূল পর্বে উঠতে ব্যর্থ। ইতিপূর্বে ২০১৮ সালে রাশিয়া বিশ্বকাপেও মূল পর্বের যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি ৪ বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা‌।

খাস খবর ফেসবুক পেজের লিঙ্ক:
https://www.facebook.com/khaskhobor2020/

স্বভাবতই উঠছে প্রশ্ন। এ সমস্ত কাণ্ডকারখানা কীসের ইঙ্গিত? তাহলে কি মহাদেশীয় প্রতিযোগিতাগুলির আদতে কোনও দামই নেই? নাকি দলগুলিই নিজেদের ছন্দ ধরে রাখতে অপারগ? সব মিলিয়ে প্রশ্ন অনেক। আর দিনকে দিন যে তা বৃদ্ধি পাবে, তাতেও সন্দেহ নেই কোনও। জবাব একজনেরই হাতে। সে হল সময়।