মোদীর কাছে কেন ক্ষমা চাইলেন অগ্নিমিত্রা

0
47

কলকাতা: আসানসোল ও বালিগঞ্জে ধরাশায়ী হয়েছে বিজেপি। বালিগঞ্জে তৃতীয় স্থানে পৌঁছে গিয়েছে গেরুয়া শিবির। বিধানসভা নির্বাচনের তুলনায় ভোট কমেছে অনেকটাই। বালিগঞ্জে ১৯ হাজারের বেশি ভোটে জিতে গিয়েছেন বাবুল সুপ্রিয়। অন্য দিকে আসানসোলে দু’লক্ষ ভোটে জিতেছেন তৃণমূল প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিনহা। সব মিলিয়ে উপনির্বাচনে কার্যত সবুজ ঝড় উঠেছে বাংলা জুড়ে। উপনির্বাচনে এই ফলাফলের পরেই প্রধানমন্ত্রীর কাছে ক্ষমা চাইলেন পরাজিত প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পল।

আরও পড়ুনঃ আর আলাদা আলাদা নয়, সমস্ত জরুরি পরিষেবার জন্য চালু হল একটাই নম্বর

- Advertisement -

আসানসোল লোকসভা প্রথমবারের জন্য দখল করল তৃণমূল। ভোটে পরাজয়ের পর মোদিকে টুইট করে ক্ষমা চেয়েছেন আসানসোল দক্ষিণের সাংসদ অগ্নিমিত্রা পল। লিখেছেন, ‘সরি নরেন্দ্র মোদি স্যার। অনেক চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু আপনাকে এই সিটটা দিতে পারলাম না। পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্রকে খুন করা হচ্ছে। সেই গণতন্ত্রকে বাঁচানোর লড়াই আমি করছি। আমার এই লড়াইটা চলবে।’

আসানসোল একটা সময় ছিল বামেদের শক্ত ঘাঁটি। নয়ের দশক থেকে ২০১৪ পর্যন্ত টানা এই লোকসভা কেন্দ্রটি দখলে রেখেছিল বামেরা। রাজ্যে পালাবদলের পর প্রথম লোকসভা নির্বাচন অর্থাত্‍ ২০১৪ সালে বামেরা নিশ্চিহ্ন হয়ে গেলেও তৃণমূল কেন্দ্রটিতে জিততে পারেনি। অপ্রত্যাশিতভাবে ৭০ হাজারের বেশি ভোটে আসনটি দখল করেন নেন বিজেপির বাবুল সুপ্রিয়। ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে সেই ব্যবধান আরও বাড়িয়ে ১ লক্ষ ৯৭ হাজার করে ফেলেন বাবুল। বাবুলের পদত্যাগের পর এই কেন্দ্রে তৃণমূলের টিকিটে প্রার্থী হন বিহারীবাবু শত্রুঘ্ন সিনহা।

‘বিহারীবাবু’র হাত ধরেই প্রথমবার আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রে প্রথমবার জোড়াফুল ফুটল। শুধু ফুটলই না, বরং বেশ বড় হল। ২০১৯ লোকসভায় বাবুল যে রেকর্ড ব্যবধানে জিতেছিলেন, সেটাকেও এবার ছাপিয়ে গিয়েছেন শত্রুঘ্ন। বিহারীবাবুর জয়ের ব্যবধান ৩ লক্ষেরও বেশি। অনেকেই ভেবেছিলেন এই আসনটি এবারেও বিজেপি ধরে রাখবে। কিন্তু তা আর হল না। আর এই হারের পরই প্রধানমন্ত্রীর কাছে ক্ষমা চাইলেন পরাজিত বিজেপি প্রার্থী।