টেট নিয়োগে বিতর্কের মাঝেই শিক্ষা দফতরের শীর্ষে কল্যাণের আত্মীয়

0
584

সৌমেন শীল, কলকাতা: রাজ্যে টেট নিয়োগে হয়েছে বড় দুর্নীতি। এমনই অভিযোগ করেছেন তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়া কালনার বিধায়ক বিশ্বজিৎ কুণ্ডু। এরই মাঝে প্রকাশ্যে এসেছে শিক্ষা দফতরে নিয়োগ সংক্রান্ত আরও বড় দুর্নীতি। রাজ্যের শিক্ষা দফতরের উচ্চ পদে আসীন করা হয়েছে এমন এক ব্যক্তিকে যার ওই পদাধিকারী হওয়ার যোগ্যতা নেই। আর সেই ব্যক্তি আবার রাজ্যের শাসকদলের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিকট আত্মীয়।

আরও পড়ুন- বামপন্থী শ্রীলেখার ছবির নায়ক যোগ দিলেন তৃণমূলে

- Advertisement -

আলোচিত ব্যক্তি হলেন তাপস মুখোপাধ্যায়। যাকে রাজ্যের উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সেক্রেটারি ইন-চার্জ করা হয়েছে। চলতি মাসের চার তারিখে শিক্ষা সংসদের পক্ষ থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে এই খবর জানানো হয়েছে। ওই নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে যে গত মাসের ২৯ তারিখে সংসদের ৩১৬ নম্বর বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

পশ্চিমবঙ্গ উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সেক্রেটারি ইন-চার্জ হওয়ার জন্য যে যোগ্যতা থাকা প্রয়োজন তা তাপসবাবুর নেই। এমনই অভিযোগ করেছেন শিক্ষা সংসদের প্রাক্তন অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি শম্ভুনাথ গঙ্গোপাধ্যায়। অবসরপ্রাপ্ত ওই আধিকারিক জানিয়েছেন যে ডবলুবিইএস পাশ করলে অথবা কোনও কলেজে অধ্যাপনার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সেক্রেটারি ইন-চার্জ পদে আসীন হতে পারেন। কিন্তু তাপস মুখোপাধ্যায়ের তেমন কোনও যোগ্যতাই নেই।

আরও পড়ুন- গোষ্ঠী কোন্দলের জেরে মালদহে আক্রান্ত তৃণমূলের দুই কর্মী

শম্ভুনাথবাবু আরও জানিয়েছেন যে বাম জমানা থেকেই শাসকদলের বদান্যতায় নানাবিধ অন্যায্য সুবিধা লাভ করেছেন এই তাপস মুখোপাধ্যায়। শিক্ষা সংসদের সাধারণ কর্মী থেকে অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি হয়েছিলেন। ২০১৯ সালের অক্টোবর মাসেও একবার তাঁকে শিক্ষা সংসদের সেক্রেটারি ইন-চার্জ করার কথা হয়েছিল। শিক্ষামন্ত্রীকে অভিযোগ জানানোর পর তা স্থগিত হয়ে যায়। সেই একই কাজ অনৈতিক উপায়ে ফের করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন শম্ভুনাথ গঙ্গোপাধ্যায়।

এই তাপস মুখোপাধ্যায় সম্পর্কে শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বেশ নিকট আত্মীয়। এর আগে বাম জমানায় রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ দে-র সঙ্গেও আত্মীয়তায় সম্পর্ক রয়েছে তাঁর। সেই সুবাদেই ১৯৮০ সালে শিক্ষা দফতরের লোয়ার ডিভিশনাল ক্লার্ক হিসেবে যোগ দেওয়া ব্যক্তি এখন উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সেক্রেটারি ইন-চার্জ হয়ে গিয়েছেন চাকরি থেকে অবসর গ্রহণের পরে। অবিলম্বে তাপসবাবুর নিয়োগ সংক্রান্ত নির্দেশিকা বাতিল করার জন্য শিক্ষামন্ত্রীর কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছে। এই বিষয়ে শিক্ষা সংসদের প্রেসিডেন্ট মহুয়া দাসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন ধরেননি। মেসেজের রিপ্লাই করেননি।