খাসতালুকে শুভেন্দুকে পদ্মহারা করতে নয়া পরিকল্পনা সৌমেনের

0
83

কলকাতা ও তমলুক: জয় আসেনি নন্দীগ্রাম থেকে৷ বিধানসভা নির্বাচনেও ফলাফল বিশেষ ভাল নয়৷ একুশের বঙ্গ ভোটে রূপনারায়ণের জেলায় ফলাফল ৯-৭৷ বাড়তি হিসেবে রয়েছে নন্দীগ্রামের দগদগে ‘ক্ষত’৷ এহেন পরিস্থিতিতে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা থেকে পদ্মফুলকে নির্মূল করতে একগুচ্ছ পদক্ষেপ গ্রহণ করলেন তৃণমূলের জেলা নেতৃত্বরা৷ কিভাবে খাসতালুকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দুর মুখ ‘কালো’ করতে হবে, দলীয় কর্মীদের তার নিদানও দিয়েছেন নেতৃত্বরা৷

আরও পড়ুন:  আফগানিস্তান নয়, এবার বাংলাতেই দুষ্কৃতীদের হাতে আক্রান্ত সাত বছরের শিশু

- Advertisement -

দলীয় সূত্রের খবর, পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় তৃণ-মূল স্তর থেকে সংগঠনকে ঢেলে সাজাতে শনিবার বিশেষ বৈঠকে বসেছিলেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি তথা রাজ্যের দাপুটে মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র৷ তমলুকের নিমতৌড়ি স্মৃতিসৌধে দলের তমলুক লোকসভা এলাকার প্রথম সাংগঠনিক সভায় সৌমেনবাবু ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জেলা, ব্লক এবং শহরের তৃণমূলের নেতৃত্ব, বিধায়ক এবং পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিরা। সামনেই পুর ভোট৷ তারপরে পঞ্চায়েত এবং ২৪ এ লোকসভার নির্বাচন৷

আরও পড়ুন: দুয়ারে সরকারের লাইনে পদপিষ্ট একাধিক লক্ষ্মী, প্রশ্নের মুখে প্রশাসন

দলীয় সূত্রের খবর, সময় থাকতে শুধু ঘর গোছাতে নয়, জেলাকে পদ্ম শূন্য করতে একগুচ্ছ পদক্ষেপ গ্রহণ করেন নেতৃত্বরা৷ তাঁর প্রধান কারণ দুটি৷ এক: ‘বিশ্বাসঘাতক’ শুভেন্দুকে উচিত শিক্ষা দেওয়া৷ দুই: বাংলার বুকে ফের মেদিনীপুরের নাম প্রতিষ্ঠিত করা৷ বুঝিয়ে দেওয়া, যে বেইমানকে কখনও প্রশ্রয় দেয় না মেদিনীপুরের মাটি৷ দলের এক নেতার কথায়, ‘‘প্রথম লক্ষ্যটি পূরণ করতে পারলেই দ্বিতীয়টি হয়ে যাবে৷ সেক্ষেত্রে রাজ্য পার্টিতে এই জেলার গুরুত্ব আরও বাড়বে৷’’

দলীয় সূত্রের খবর, বৈঠক থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, এখন থেকে দলমত নির্বিশেষে আরও বেশি মানুষের কাছে পৌঁছাবেন নেতৃত্বরা৷ মানুষের সঙ্গে আরও বেশি করে সময় দেওয়া হবে৷ প্রত্যক্ষভাবে জনগণ যুক্ত রয়েছে এমন সরকারি প্রকল্পগুলির ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা রাখার জন্য দলগতভাবেও নজরদারি চালানো হবে৷ সর্বোপরি মানুষের সঙ্গে সু-ব্যবহার করার জন্যও দলের সর্বস্তরের নেতৃত্ব, কর্মীকে নির্দেশ দেওয়া হয়৷

সৌমেনবাবুর কৌশলী মন্তব্য, ‘‘নন্দীগ্রামের বিষয়টা আদালতের বিচারাধীন৷ তাই ওই বিষয়ে কিছু বলব না৷ বাকি জেলার কথা দায়িত্ব নিয়ে বলতে পারি, আগামী দিনে এলাকায় বিজেপির ঝান্ডা ধরার মতোও লোক থাকবে না৷ কারণ, বেইমানের স্বরূপ ধীরে ধীরে সামনে আসছে৷ তাই দলে দলে মানুষ বিজেপি থেকে তৃণমূলে নাম লেখাচ্ছে৷’’