শুভেন্দু অধিকারীকে ‘ইঁদুর’ বলে কটাক্ষ শতরূপের

0
42

নিজস্ব সংবাদদাতা, ঝাড়গ্রাম: ডুবতে চলেছে তৃণমূলের জাহাজ। আর কথিত আছে যে ডুবন্ত জাহাজের আঁচ সবার আগে টের পায় ইঁদুর। তাই সে জাহাজ থেকে ঝাঁপ দেয়। তৃণমূল নামক জাহাজের সেই ইঁদুর হল শুভেন্দু অধিকারী। ঝাড়গ্রামে প্রকাশ্য সভায় দাঁড়িয়ে এমনই মন্তব্য করলেন সিপিএম নেতা শতরূপ ঘোষ।

আরও পড়ুন- আমরা জিতলেও মানুষের পাশে থাকবো আর হারলেও : শতরূপ ঘোষ

- Advertisement -

শুক্রবার ঝাড়গ্রাম শহরের ঝাড়গ্রাম স্টেশন সংলগ্ন সিপিআইয়ের দলীয় কার্যালয়ে একটি শ্রমজীবী ক্যান্টিনের ১০০ দিন পূর্তি ছিল। সেই অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন বাম নেতা শতরূপ। সেই মঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়ে শুভেন্দু অধিকারী প্রসঙ্গে মন্তব্য করেন শতরূপ ঘোষ। সেই সঙ্গে আগামী নির্বাচনে জঙ্গলমহলে সুশাসন ফেরাতে বামেদের ভোট দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করেন তিনি।

শতরূপ বলেছেন, “তৃণমূলে থেকে সব লুঠ করে এখন শুভেন্দু অধিকারী বিজেপি গিয়েছেন। ঝাড়গ্রামের লোকের কাভহে এখন অপশন হচ্ছে তৃণমূলকে ভোট দিতে হবে অথবা তৃণমূল ছেড়ে আসা শুভেন্দুকে। এই অবস্থায় উপযুক্ত বিকল্প একমাত্র বামেরা।” একই সঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী প্রসঙ্গে শতরূপ আরও বলেছেন, “জাহাজ ডুবছে কিনা তা সবার আগে বুঝতে পারে ইঁদুর। তাই তারা ঝাঁপ দেয়। তবে ডাঙায় পৌঁছাতে পারে না। সাগরে ঝাঁপ দেয়। শুভেন্দু অধিকারী তেমনই ইঁদুর। তাঁকে মানুষের সমুদ্রে ঝাঁপ দিতে হবে। মানুষ এদের বিচার করবে।”

আরও পড়ুন- ভ্যাকসিন নিয়ে গোটা বিশ্বের নজর ভারতের ওপর, সাহায্য করতে প্রস্তুত বিদেশমন্ত্রকও

ঝাড়গ্রামের শ্রমজীবী ক্যান্টিনে মাত্র কুড়ি টাকায় মিলবে পেট ভরতি আহার। সেই ক্যান্টিন শুক্রবার ১০০ দিনের পদার্পণ করেছে। ১০০ দিনে পদার্পণ করার উপলক্ষে ঝাড়গ্রাম স্টেশন সংলগ্ন শ্রমজীবী ক্যান্টিন থেকে সিপিআই, এএসএফআই, এআইওয়াইএ এবং এআইটিসিইউ এর কর্মী সমর্থকরা এক বিশাল মিছিল করেন। মিছিলের শেষে সুভাষ পার্ক এর মোড়ে সভা করেন বামফ্রন্ট কর্মীরা।

এই সভায় উপস্থিত ছিলেন ঝাড়গ্রাম এর প্রাক্তন সিপিএমের সাংসদ পুলিনবিহারী বাস্কে, ঝাড়গ্রামের সিপিআই নেতা প্রতীক মৈত্র এছাড়াও একাধিক বামফ্রন্ট নেতৃত্বরা। বক্তব্য রাখার সময় এআইএসএফ এর রাজ্য সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য শতরূপ ঘোষ বললেন, “আমরা জিতলেও মানুষের পাশে থাকবো হারলেও মানুষের পাশে থাকবো। আমি কলকাতা থেকে যখন ঝাড়গ্রাম আসছিলাম দেখলাম কোথাও লেখা আছে আমার দাদার অনুগামী আবার কোথাও লেখা আছে আমার দিদি অনুগামী। আর যারা এই শ্রমজীবী ক্যান্টিন চালাচ্ছি আমরা লাল ঝাণ্ডার অনুগামী”।