নয়া ঠিকানায় পথ চলা শুরু, অভিষেকই নম্বর ‘টু’-কৌশলে বোঝালেন দিদি

0
77

সুমন বটব্যাল, কলকাতা: ৩৬ জি তপসিয়া রোডের ঠিকানাটা এখন থেকে অতীত৷ পরিবর্তে আজ থেকে এ/পি, ক্যানাল সাউথ রোড, মেট্রোপলিটন, সিএইচএস লি: কলকাতা-১০৫ ঠিকানায় হয়ে উঠল ‘তৃণমূল ভবন’৷

গৃহ প্রবেশের অনুষ্ঠানকে ঘিরে সকাল থেকেই নয়া এই ছ’তলা ভবনে হাজির হয়েছিলেন রাজ্যের বর্ষীয়ান নেতা-মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। তিনিই পুরোহিত৷ তবে এদিন যাকে ঘিরে পুরো ভবন উৎস্যুক হয়েছিল, তিনি এলেন ঠিক দুপুর ২টো ১৫ মিনিটে৷ ব্ল্যাক টয়োটা ক্যামরি হাইব্রিড গাড়ি থেকে নামলেন বছর পঁয়ত্রিশের ছিপছিপে চেহারার এক যুবক৷ পরণে ডেনিম জিন্স, ব্লুইশ ব্ল্যাক জামা৷ মুহূর্তে ব্যস্ত হয়ে উঠলেন রক্ষী থেকে নেতা, কর্মীরা৷ জোরহাতে নমস্কার করে ভিতরে ঢুকলেন৷ টানা ৫০ মিনিটের ব্যবধানে ফের ওই গাড়িতে চড়েই ঘটনাস্থল ছাড়লেন তিনি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তবে আসা-যাওয়ার পথে প্রতি নমস্কার ছাড়া সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে একটিও বাক্য বিনিময় করলেন না৷

- Advertisement -

দলীয় সূত্রের খবর, অক্ষয় তৃতীয়া ও ইদুল ফিতারের শুভলগ্নে অস্থায়ী ভবনের গৃহ প্রবেশের অনুষ্ঠানে হাজির থাকার কথা ছিল তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও৷ তবে সপ্তাহখানেক আগে সেই কর্মসূচি বদলায়৷ এরপরই স্থির হয়, দিদির পরিবর্তে ভবনের গৃহ প্রবেশের আনুষ্ঠানিক অনুষ্ঠানে হাজির থাকবেন অভিষেক৷ পার্থ চট্টোপাধ্যায়, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যেরা আগেই পৌঁছে গিয়েছিলেন৷ শুরু হয়েছিল পূজার্চনাও৷ তবে পুজোপাঠের মূলপর্বের জন্য সকলেই অভিষেকের অপেক্ষায় ছিলেন৷ যা দেখে দলের অন্দরেই আলোচনা শুরু হয়েছে, কলকাতায় থাকলেও এদিনের অনুষ্ঠানে দিদি নিজে না এসে অভিষেককে পাঠিয়ে কৌশলে এই বার্তাটাই স্পষ্ট করলেন, দলের অন্দরে অভিষেকই নম্বর ‘টু’৷

চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের কথায়, ‘‘পুরনো ভবনটাকে মিস করছি৷ তবে অস্থায়ী ভবনে গৃহ প্রবেশে্র অনুষ্ঠানও আমাদের কাছে যথেষ্ট আনন্দের৷ ওখানে স্থান সঙ্কুলানের সমস্যা হত৷ এখানে সেটা হবে না৷ ফলে পরিবারের ঐক্য আরও শক্তিশালী হবে৷’’ দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কথায়, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বরাবরই বলেন, মানুষই শেষ কথা৷ তাই মানুষের কথা ভেবে, সাধারণ কর্মীদের কথা ভেবে অস্থায়ী ভবনটি নেওয়া হয়েছে৷ এর ফলে আরও বেশি সংখ্যক মানুষের সঙ্গে জন সংযোগ গড়ে তোলা যাবে৷ নেতৃত্ব ও কর্মীদের মধ্যে সম্পর্কের বন্ধন আরও শক্তিশালী হয়ে উঠবে৷’’

নয়া এই ভবনে তৃণমূল নেত্রীর জন্য রয়েছে আলাদা একটি সুবিশাল কক্ষ৷ এছাড়াও রাজ্যের শীর্ষ নেতাদের জন্যও বরাদ্দ করা হচ্ছে পৃথক পৃথক চেম্বার৷ জেলা থেকে আসা নেতা, কর্মীদের জন্যও থাকছে রাতে থাকার বন্দোবস্ত৷ নয়া ভবন তৈরি না হওয়া পর্যন্ত এখান থেকেই চলবে দলের যাবতীয় কাজকর্ম৷ সূত্রের খবর, এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম, গোত্র দিয়ে নয়া ভবনের গৃহ প্রবেশের অনুষ্ঠানটি করেন বর্ষীয়ান শোভনদেব৷

আরও পড়ুন: বগটুই যেন অন্য গ্রহ, খুশির ইদেও জৌলুসহীন গ্রাম