বাংলায় সাংসদ সংখ্যা ২১ হল না, তৃণমূলকে টপকানোর স্বপ্ন অধরা বিজেপির

অধিকারী পরিবারের ছোট ছেলেকে প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় দেখা গেল না৷ একটু হলেও তাতে হতাশ হয়েছে বঙ্গ বিজেপি৷

0
706

কাঁথি: আশা ছিল আজই বাংলায় সাংসদ শক্তির বিচারে তৃণমূলকে টপকে যাবে বিজেপি৷ নরেন্দ্র মোদীর কাঁথির সভায় যাবেন তৃণমূল সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী৷ কিন্তু অধিকারী পরিবারের ছোট ছেলেকে প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় দেখা গেল না৷ একটু হলেও তাতে হতাশ হয়েছে বঙ্গ বিজেপি৷ তিনি না যাওয়ায় বিজেপির অধরাই থেকে গেল তৃণমূলকে টপকানোর স্বপ্ন৷

কী সেই স্বপ্ন? উনিশের লোকসভা ভোটে বাংলা থেকে অপ্রত্যাশিতভাবে ১৮টি আসন পায় বিজেপি৷ তৃণমূলের ঝুলিতে যায় ২২টি আসন৷ গত বছর ডিসেম্বরে শুভেন্দু তৃণমূল ছাড়তেই আন্দোলিত হয়ে পড়ে ঘাসফুল শিবির৷ শুভেন্দুর দেখাদেখি বিজেপিতে যোগ দেন বর্ধমান পূর্বের তৃণমূল সাংসদ সুনীল মণ্ডল৷ খাতায়-কলমে তৃণমূল সাংসদ হলেও এখন তিনি বিজেপি নেতা৷ সুনীলের যোগদানের পরই বিজেপি নেতারা দাবি করেন, বাংলা থেকে তাদের সাংসদ সংখ্যা হয়েছে ১৯৷ তৃণমূলের কমে হয়েছে ২১৷ দু’দিন আগে আরেক তৃণমূল সাংসদ শিশির অধিকারী যোগ দেন বিজেপিতে৷ ফলে সাংসদ শক্তির বিচারে তৃণমূল-বিজেপি এখন ২০-২০তে৷ আজ দিব্যেন্দু পদ্মবনে প্রবেশ করলে সেক্ষেত্রে তৃণমূলকে টপকে যাওয়ার সুযোগ ছিল বিজেপির৷ কিন্তু কার্যক্ষেত্রে তা না হওয়ায় বিজেপির স্বপ্ন অধরাই রয়ে গেল৷

- Advertisement -

গত কয়েকদিন ধরেই দিব্যেন্দুর বিজেপিতে যোগদান নিয়ে জল্পনা চলছিলই৷ তারপর মোদীর সভায় যাওয়ার জন্য শিশির ও দিব্যেন্দু অধিকারীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন লকেট চট্টোপাধ্যায়৷ এর মধ্যে শান্তিকুঞ্জের বড় কর্তা এগরায় অমিত শাহের মঞ্চে উঠে তৃণমূলের সঙ্গে সম্পর্কের পাট চুকিয়ে দেন৷ কাজেই আজ তাঁর মোদীর সভায় যাওয়া নিয়ে কোনও বাধা ছিল না৷ কিন্তু দিব্যেন্দু আমন্ত্রণ পাওয়ার পর তা খারিজ করেননি৷ কিন্তু মোদীর সভায় যাবেন এমনটা জোর গলায় বলেননি৷ মঙ্গলবার রাতে দিব্যেন্দু জানিয়েছিলেন, বুধবার সকালে সিদ্ধান্ত নেবেন৷ কিন্তু মোদীর সভায় তাঁর অনুপস্থিতি বুঝিয়ে দেয়, তিনি কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি৷ তবে শ্রোতা হিসেবে দিব্যেন্দুর স্ত্রী সুতপা গিয়েছিলেন৷

একটা সময় অধিকারী পরিবারের চার সদস্যের চারজনই ছিলেন তৃণমূলে৷ কিন্তু মেজো ছেলে শুভেন্দু বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরই শান্তিকুঞ্জে পদ্ম ফুটতে শুরু করে৷ নন্দীগ্রামের বিজেপি প্রার্থী এক জনসভায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে বলেছিলেন, রামনবমীর আগে তাঁর বাড়িতে আরও পদ্মের কুঁড়ি ফুটবে৷ তারপর ভাই সৌমেন্দু এবং সবশেষে বাবা শিশির অধিকারী যোগ দেন বিজেপিতে৷ এখন কেবল দিব্যেন্দু পড়ে রইলেন ঘাসফুল শিবিরে৷ সূত্রের দাবি, নীলবাড়ি দখলের লড়াই শেষ না হওয়া অবধি দিব্যেন্দু সম্ভবত তৃণমূলেই থেকে যেতে পারেন৷