শ্রীলেখার আচরণে ক্ষুব্ধ কমরেডরা

0
34

কলকাতা : শ্রীলেখা মিত্রর ব্যাবহারে বেজায় ক্ষুব্ধ সিপিএম কর্মী সমর্থকরা। সম্প্রতি শ্রীলেখা মিত্র একটি বিষয় ঘোষণা করেন, যে একটি কুকুর ছানাকে দত্তক নেবে তার সঙ্গে তিনি ডেটিংয়ে যাবেন। শশাঙ্ক ভাবসর নামে এক রেড ভলেন্টিয়ার সেই মতো একটি কুকুর ছানাকে দত্তক নেয় এবং শ্রীলেখা মিত্রর সঙ্গে একদিন কফি খেতে যান।

আরও পড়ুন : জাতের নামে বিহারে একজোট সব দল

- Advertisement -

সোমবার শ্রীলেখা মিত্র ফেসবুক পোস্ট করে জানান, সেই কুকুর ছানাটিকে মেরে ফেলেছে শশাঙ্ক ভাবসর। ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে শ্রীলেখা সরাসরি তাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। এমনকি দময়ন্তী সেন তার এক পরিচিতকে বলেন যেন শশাঙ্ককে না ছাড়া হয়। এরপরেই বুধবার সকালে দময়ন্তী সেন ও তার সঙ্গী সাথীরা হাজির হয় শশাঙ্কের কাছে। তারা শশাঙ্ককে কার্যত গণপ্রহার করেন এবং শারীরিক নিগ্রহ করেন এমনটাই বলছে পথচলতি সাধারণ মানুষ। যদিও শশাঙ্কের বাড়ির উল্টো দিকের দোকানীর বক্তব্য, শশাঙ্কের বাড়ির গ্রিলের ফাঁক বড় থাকায় কুকুর ছানাটি রাস্তায় চলে আসে, এরফলেই দুর্ঘটনা ঘটে, যাতে কুকুর ছানাটির মৃত্যু ঘটে।

আরও পড়ুন : মমতার প্রকল্পকে ডোল বলা ভুল, বলছে সিপিএম পলিটব্যুরো

বুধবার এই ঘটনার পর পুলিশ এসে শশাঙ্ককে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। এরপরেই সামাজিক মাধ্যম তোলপাড় হতে থাকে এই ঘটনা নিয়ে। বহু বাম সমর্থক ক্ষোভে ফেটে পড়ে একজন রেড ভলেন্টিয়ারের এই রকম অপমান দেখে। তাদের বক্তব্য যারা করোনার সময় মানুষের প্রাণ বাঁচাতে জীবন বাজি রাখল তাদের একজন একটি কুকুর ছানাকে হত্যা করবে এটা আদৌ বিশ্বাসযোগ্য নয়। শ্যামনগরের এসএফআই নেত্রী মমতা সেনগুপ্ত ফেসবুকে লিখেছেন, ধর্মের নামে, জাতপাতের নামে মব লিঞ্চিংয়ের বিরুদ্ধে যেমন দাঁড়ানো উচিত, তেমনই পশুপ্রেমের নামে হওয়া মব লিঞ্চিংয়ের বিরুদ্ধেও দাঁড়াতে হবে। সিপিএম সমর্থক সৌতিক দাস ফেসবুকে লিখেছেন, বাম রাজনীতিতে বিরিয়ানি ও ডাল ভাতের পার্থক্যটা বুঝতে হয়। 

আরও পড়ুন : করোনা প্রতিরোধে টু-ইন-ওয়ান মাস্ক

                                 

এই বিতর্কে আরও ঘৃতাহুতি হয়, সিপিএম নেতা তন্ময় ভট্টাচার্যর একটি মন্তব্যকে নিয়ে যেটা তিনি শ্রীলেখা মিত্রর পোস্টে করেছেন। সেখানে তিনি শ্রীলেখার উদ্দ্যেশ্যে লিখেছেন, যে শ্রীলেখার তার সাথে কথা বলা উচিত ছিল। এরপরেই সামাজিক মাধ্যমে বহু বাম সমর্থক লিখতে শুরু করেন যে পার্টির নেতারা যদি রেড ভলেন্টিয়ারদের পাশে না দাঁড়ায় তাহলে আগামী দিনে বহু তরুণ তরুণীকে অচিরেই হারাবে। অনেকে শীর্ষ নেতাদের নীরবতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। 

আরও পড়ুন : মানিক সরকারের বক্তব্যের অপব্যাখ্যা সংবাদ মাধ্যমের অভিযোগ সিপিএম এর 

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে সিপিএম এর মতো দলে কর্মীরাই দলের সম্পদ সেই খানে কোন অভিনেতা অভিনেত্রী কখনই কর্মীদের পরিপূরক হতে পারবেনা। তবে এখন দেখার সিপিএম নেতারা এই সারসত্যটি বোঝেন কিনা, বলছে রাজনৈতিক মহল।