জানেন কি, মানুষের মতো হাতিও মৌমাছিকে খুব ভয় পায়

0
51

আলিপুরদুয়ার: হাতির হানা রোজনামচা হয়ে উঠেছিল। প্রায় প্রতিদিন গ্রামে হানা দিত হাতির দল। যত ফসল খেত, তার চেয়ে ঢের বেশি ফসল নষ্ট করত পায়ে দলিয়ে। ভেঙে ফেলত ঘরবাড়ি। এইসব দৃশ্য দেখতে দেখতে ক্রমশই অসহায় হয়ে পড়ছিলেন গ্রামের গ্রামবাসীরা। অবশেষে নেট ঘেঁটে হাতির হানার হাত থেকে বাঁচতে অভিনব উপায় বার করলেন বাসিন্দারা। ঘটনাস্থল আলিপুরদুয়ারের-২ নম্বর ব্লকের নুরপুর গ্রাম। ভুটানের পাদদেশে থাকা এই গ্রামের বাসিন্দারা হাতির আক্রমনের হাত থেকে রক্ষা পেতে মধু চাষ শুরু করলেন।

নেট ঘেঁটে বাসিন্দারা জানতে পারেন, দক্ষিণ আফ্রিকায় হাতির আক্রমণ থেকে বাঁচতে মধু চাষ করা হয়। দক্ষিণ আফ্রিকার মত তাঁরাও শুরু করলেন মধু চাষ। মানুষের মতো হাতি ও মৌমাছিকে খুব ভয় পায়। মৌমাছির গুঞ্জনের শব্দ এবং মৌমাছির হুল এই দুটিই তাদের পছন্দ নয়। তাই যেখানে মৌমাছি থাকে সেখানে হাতি সচরাচর যায় না।

- Advertisement -

মধু চাষ করার পর থেকেই গ্রামের সার্বিক চিত্র বদলাতে থাকে। হাতির হানা থেকে রক্ষা পায় নুরপুর গ্রাম। এছাড়া মধু চাষ করার ফলে কর্মসংস্থানের ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে। উত্তরবঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহায়তায় ওই গ্রামের গ্রামবাসীরা মৌ চাষ শুরু করেন। ইতিমধ্যে মৌ চাষিদের উৎসাহিত করতে রীতিমতো ট্রেনিং দেওয়া হচ্ছে তাদের। এছাড়া সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে মধু নিষ্কাশনের যন্ত্রপাতি সহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি।

আরও পড়ুন: বাংলায় ঘুরে দাঁড়াতে বিজেপির ‘ভরসা’ তৃণমূলই, কর্মীদের নজিরবিহীন পরামর্শ সুকান্তের