
কলকাতা: সেই ২৩ জুলাই থেকে জেলবন্দি তিনি৷ একাধিকবার জামিনের আর্জি জানিয়েও হয়নি সুরাহা৷ বরং, নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ঘরে-বাইরে প্রবল সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে (Partha Chatterjee)৷ তাঁর কঠোরতম শাস্তির দাবিতে এখনও রাজপথে স্লোগান ওঠে চাকরিপ্রার্থীদের কন্ঠে৷ এমন আবহে এখনও বিধানসভার অন্দরের একটি কমিটিতে বহাল তবিয়তে রয়েছে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাম৷ বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই নতুন করে ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য৷ ফের পার্থর সঙ্গে তৃণমূলের ‘ঘনিষ্ঠতা’ নিয়ে সরব হয়েছে বিরোধীরা৷
বিধানসভায় শুরু হতে চলেছে শীতকালীন অধিবেশন৷ সেই সংক্রান্ত কাজকর্ম খতিয়ে দেখতে গিয়েই বিধানসভার কর্মীদের নজরে আসে, বিধানসভার রুলস কমিটিতে এখনও বহাল তবিয়তে রয়েছে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী, দুর্নীতির দায়ে জেল হাজতে যাওয়া পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাম৷ সূত্রের খবর, বিষয়টি শাসকদলের শীর্ষ নেতৃত্বরও অজানা নয়৷ কারণ, দুর্নীতির দায়ে জেলে যাওয়া পার্থর দৌলতেই বাংলা দেখেছে নগদ টাকার পাহাড়ের ছবি৷ যার জেরে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দলের গুরুত্বপূর্ণ পদ থেকে শুরু করে মন্ত্রিত্ব, সবই খোয়াতে হয়েছে তাঁকে৷ হারিয়েছেন বিধানসভার একাধিক স্ট্যান্ডিং কমিটির পদও৷
এমনকি সম্প্রতি বিজনেস এডভাইসারি কমিটি থেকেও বাদ পড়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাম৷ তাহলে বিধানসভার রুলস কমিটিতে কেন রাখা হয়েছে? সরাসরি কোনও জবাব মেলেনি বিধানসভার দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকদের কাছ থেকে৷ তবে কারও কারও মতে, এটি অনিচ্ছাকৃত ‘ত্রুটি’৷ বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই সরব হয়েছে বিরোধীরা৷ তাঁদের কথায়, ‘পার্থ একা নন, নিয়োগ কেলেঙ্কারি কান্ডে তৃণমূলের আরও অনেকে জড়িত৷ পরিস্থিতির চাপে এখন পার্থকে ঝেড়ে ফেলার চেষ্টা হচ্ছে!’ এমনকি কেন্দ্রীয় বাহিনীর ঘেরাটোপে হাসপাতালে আসা-যাওয়ার পথে পার্থর কন্ঠে শোনা গিয়েছে, ‘আমি ষড়যন্ত্রের শিকার’! তাই পার্থকে (Partha Chatterjee) ‘সন্তুষ্ঠ’ রাখতেই এমন কৌশল কি না, তা নিয়েও চর্চা শুরু হয়েছে রাজ্য রাজনীতির অন্দরে৷
আরও পড়ুন: মোদী-দিদির দ্বন্দে উদ্বোধন ছাড়াই পথচলা শুরু মেডিক্যাল কলেজের