মালবাজার: বিশ্বকর্মা পুজোর দিন সাড়ম্বরে পূজিত হল যন্ত্রদেবতার বাহন হাতির(elephant)। তবে মার্টির মূর্তি নয়, জীবন্ত হাতিকেই পুজো করা হল মালবাজার মহকুমার মেটেলি(malbazar, metali) ব্লকের গাছবাড়িতে। বনদফতরের দুই কুনকি হাতির পুজো ঘিরে মেতে উঠেছিলেন পর্যটকরাও।
একদিকে ভয়, অপরদিকে ভক্তি। দুয়ের মিশেলই ধরা পড়ে বন্যপ্রাণীর পুজো ঘিরে। সুন্দরবনে যেমন বাঘকে ঘিরে দক্ষিণরায়ের পুজো, তেমনি জঙ্গলমহল কিংবা উত্তরবঙ্গের ডুয়ার্স জুড়ে হয় নিষ্ঠার সঙ্গেই হয় হাতিপুজো। তবে উত্তরবঙ্গে হাতি নয়, বিশ্বকর্মার বাহন পুজো পান মহাকাল নামে। তবে যে নামেই ডাকা হোক, বিষয়টা কিন্তু একসুরে বাঁধা। আর তা হল ভক্তির মাধ্যমে ভয়কে জয় করার চেষ্টা জঙ্গল লাগোয়া বাসিন্দাদের।
উত্তরবঙ্গে বনদফতরের সাড়ম্বরে হাতিপুজো বাড়তি আকর্ষণ পর্যটকদের কাছে। ডুয়ার্স ঘুরতে আসা পর্যটকদের কাছে তা একরকম উপরি পাওনা। কালচারাল ট্যুরিজিম হিসেবেও তুলে ধরা হয় বনদফতরের এই হাতিপুজোকে। বনদফতরের বিভিন্ন রেঞ্জে তাদের পোষা হাতিগুলিকে স্নান করিয়ে পুজোর জন্য সাজিয়ে দেওয়া হয়। শরীরে নানারঙের চকের আলপনা, ফুলে-মালায় রীতিমতো উৎসাবে সেজে ওঠে কুনকি হাতির দল। আর পুরোহিতের পুজো-পর্ব মিটলেই চলে তাদের খাওয়ানোর পালা।
হাতি পুজোর দিন কুনকি হাতিদের মেনুও বেশ স্পেশাল। সেখানে সিংহভাগই থাকে ফল ও নানান সব্জি। হাতিদের খাওয়াতে ছোটকরে কাটা আখ, কিংবা কলা নিয়ে এগিয়ে আসেন অত্যুৎসাহী পর্যটকররাও। পুজো ঘিরে হাতি তথা মহাকালের দাপট থেকে ক্ষেতের ফসল সহ ঘরবাড়ি বাঁচানোর আকূল প্রার্থনা যেমন থাকে, তেমনি থাকে বন্যপ্রাণীদের সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানোর বার্তাও। সবমিলিয়ে ডুয়ার্সের হাতিপুজোও(hatipujo) রীতিমতো জমজমাট।
আরও পড়ুন: তৃণমূলের ৮০ ভাগ লোক আমার সঙ্গে রয়েছে, ফের বিস্ফোরক দাবি শুভেন্দুর
downloads: https://play.google.com/store/apps/details?id=app.aartsspl.khaskhobor