রাজনীতির রঙে নয় এবার উৎসবের আনন্দে মেতে বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্যতা আনলেন অদিতি

0
96

কলকাতা: ”নানা ভাষা নানা মত, নানা পরিধান। বিবিধের মাঝে দেখ মিলন মহান।” এই মতাদর্শে চলে আপামর ভারতবাসী। তাই ধর্ম আলাদা হলেও উৎসব আমাদের সকলের ক্ষেত্রে সমান। বিভিন্ন পালা-পার্বণে আমরা সকলে মিলে আনন্দ একসাথে ভাগ করে নিই। বাগুইআটি শাস্ত্রীবাগানও সেই ঐতিহ্যবহন করে চলছে বছরের পর বছর।

”ও আইরে ছুটে আয় পুজোর গন্ধ এসেছে।” রথ হয়ে যাওয়া মানেই পাড়ায় পাড়ায় বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসবের প্রস্তুতি শুরু হয়ে যায়। ক্লাবকর্তাদের মধ্যে উত্তেজনা থাকে তুঙ্গে।

- Advertisement -

প্রত্যেক বছর বাগুইআটি শাস্ত্রীবাগানের অধিবাসীরা রাখীর দিনটি সার্বজনীন হিসাবে পালন করে থাকে। কাবুলিওয়ালার বাঙালি বউয়ের জন্মস্থান এটি। লেখনির দৌলতে সুস্মিতা দেবী নামটির চেয়ে দিপালী নামটি মানুষের মনে বেশি করে দাগ কেটেছে। তালিবানিদের হাতে নিহত হয়েছেন কাবুলিওয়ালার বাঙালি বউ। তাঁকে স্মরণ করে তাঁর নিজের ভাই ও পাড়ার ভাইয়েরা রাখী মিলন উৎসবের আয়োজন করেন। এদিন তাঁর ছবিতে রাখী পরিয়ে পুজোর সূচনা করা হয়।

আরও পড়ুন: নয়া শ্রম আইনে বাড়ছে কাজের সীমা, বেতন কাঠামোতেও রদবদল করতে চলেছে কেন্দ্র

শাস্ত্রীবাগান সার্বজনীন দুর্গোৎসব এবছরের তাদের ভাবনা ‘বন্ধনে বোধন’। রাখীর দিনই আয়োজিত হল খুঁটিপুজোর। পুজো আসতে আর মাত্র কিছুদিন। তার আগে কোভিড পরিস্থিতির কথা মাথা রেখে পালিত হল খুঁটিপুজো। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজারহাট গোপালপুর বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক অদিতি মুন্সী, তৃণমূল যুবনেতা দেবরাজ চক্রবর্তী সহ অন্যান্য ব্যক্তিত্বরা।

এদিন জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলে মিলে এই উৎসবে মেতে ওঠে। প্রত্যেকের হাতে রাখী পরিয়ে দেন ক্লাব উদ্যোক্তারা। রাখী বন্ধনের মাধ্যমে সৌহার্দ্য বিনিময় করেন তারা।

এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে বিধায়ক অদিতি জানান, ”এখানে এসে খুব ভাল লাগছে। এমন চিন্তাভাবনার জন্য তিনি সুস্মিতা দেবীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। পাশাপাশি কোভিড পরিস্থিতিতে এলাকার মানুষদের সচেতনতার বার্তা দিয়েছেন তিনি।”