খাস ডেস্ক: ভারতের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা বীর নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর নাম। বহু বছর কেটে গেলেও এখনও তাঁর অন্তর্ধান রহস্য হয়ে থেকে গিয়েছে। চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসতে শুরু করে ‘গুমনামি বাবা’ নামের এক ব্যক্তি নেতাজি। যদিও এ নিয়ে বিতর্ক রয়েছে প্রচুর। তবে কে এই গুমনামি বাবা? কি তাঁর পরিচয়।
আরও পড়ুন: Madhyamik 2023: পরীক্ষার্থীরা সাবধান, এক ভুলেই আটকে যেতে পারে রেজাল্ট
তথ্য ঘাটলে জানা যায়, ১৯৮২ সালে উত্তরপ্রদেশের ফৈজাবাদে সিংহ বাড়িতে এক সাধুবাবা ছোট এক কামড়ার ঘর ভাড়া নিয়ে থাকতে শুরু করেন। যতদিন তিনি ভাড়া ছিলেন কেউই তাঁর চেহারা স্পষ্ট দেখতে পাননি। নিজের আসল নাম কাউকে জানাননি এমনকি কারও সঙ্গে কথাও বলতেন না। এই কারণেই ওই সাধুবাবাকে ডাকা হত গুমনামি বাবা নামে।
১৯৮৫ সালে সিংহ পরিবারের এক সদস্য তথা বিজেপি নেতা শক্তি সিংহ গুমনামি বাবার মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে আনেন। পাশাপাশি বিস্ফোরক দাবি করে বলেন যে তিনিই নাকি আসলে নেতাজি।
জানা যায়, গুমনামি বাবার মৃত্যুর পর তাঁর বাসভবন ‘রাম ভবন’এ আসেন নেতাজির পরিবারের এক সদস্য। তিনি নাকি স্বীকার করেছিলেন গুমনামি বাবার ঘরের অধিকাংশ জিনিস সুভাষচন্দ্র বসুর। এরপর গুমনামি বাবার আসল পরিচয় জানতে আদালত পর্যন্ত জল গড়ায়। রাম ভবন থেকে বিভিন্ন জিনিসপত্র উদ্ধার করে ২৪ টি ট্যাঙ্কে ভরা হয়। ১৯৯৯ সালে নেতাজি মৃত্যু রহস্য উদঘাটনের জন্য তৈরি মুখার্জী কমিশন ২৪ টি ট্যাঙ্কের সামগ্রী খতিয়ে দেখে রিপোর্ট পেশ করে যেখানে উল্লেখ করা হয় গুমনামি বাবাকে নেতাজি বলা যায় না। কমিশনের রিপোর্টকে সমর্থন করেন নেতাজি কন্যা অনিতা বসু।
গুমনামি বাবাই নেতাজি, এই দাবিতে একের পর এক তথ্য সামনে আসতে শুরু করে। তবে সুভাষচন্দ্র বসুর পরিবারের তরফে অভিযোগ তোলা হয় যে নেতাজিকে গুমনামি বাবা হিসেবে প্রমাণ করার ব্যর্থ চেষ্টা চলছে যা একপ্রকার ‘অশুভ প্রচার’। এই অভিযোগে তাঁরা আইবি রিপোর্ট প্রকাশের দাবি জানিয়েছিলেন।