‘‘ভগবান রামের মন্দির নিয়ে ব্যবসা করা হচ্ছে, এরা বাবরের চেয়েও অধম।’’

সরব হলেন অযোধ্যার দশরথ গদ্দি মন্দিরের মহন্ত ব্রিজমোহন দাস

0
64

সংবাদ সংস্থা: ২ কোটি টাকার লগ্নি পরিণত হল ১৮ কোটি টাকায়! তাও আবার সরকারি জমি, যা কিনা বিক্রির প্রশ্নই ওঠে না৷ উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যা রামমন্দির নির্মাণের জমিকে কেন্দ্র করে বেনিয়ম এবং মুনাফা লুঠ করার অভিযোগ উঠল শাসকদল বিজেপির নেতার বিরুদ্ধে৷

আরও পড়ুন: অন্ধের দেশে চশমা বিক্রি করেন শিল্পী নচিকেতা

- Advertisement -

অযোধ্যার রাম মন্দির নির্মাণের জন্য ইতিমধ্যেই ট্রাস্টের কাছে মানুষের মুক্ত হস্তে দান করা অর্থের পরিমাণ প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা! ঘুরপথে সেই টাকা বিজেপি নেতারা আত্মস্থ করছিলেন বলে অভিযোগ উঠছিল৷ এই নয়া জমি কেলেঙ্কারির জেরে তা সামনে এল বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল৷ বিরোধীরা নয়, বিজেপির বিরুদ্ধে ধর্মীয় ভাবাবেগ উস্কে রাম মন্দির নির্মাণের নামে কোটি কোটি টাকা লুঠ করার অভিযোগে এবার সরব হলেন অযোধ্যার দশরথ গদ্দি মন্দিরের মহন্ত ব্রিজমোহন দাস স্বয়ং। তাঁর কথায়, ‘‘ভগবান রামের মন্দির নিয়ে ব্যবসা করা হচ্ছে, এরা বাবরের চেয়েও অধম।’’

ট্রাস্টের একাংশের অভিযোগ, অযোধ্যার মেয়র তথা বিজেপি নেতা ঋষিকেশ উপাধ্যায়ের ভাইপো দীপ নারায়ণ এই বেআইনি লেনদেনটি করেছেন৷ অভিযোগ, গত ফেব্রুয়ারি মাসে রাম জন্মভূমি লাগোয়া ১৩৫ নম্বর ক্রমিকের ৮৯০ বর্গ মিটার ২০ লক্ষ টাকায় মহন্ত দেবেন্দ্রপ্রসাদ আচার্যর কাছ থেকে ক্রয় করেন অযোধ্যার মেয়র তথা বিজেপি নেতা ঋষিকেশের ভাইপো দীপ নারায়ণ। তখন জমিটির বাজার মূল্য ছিল ৩৫ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা। সেই জমি রাম জন্মভূমির ট্রাস্টকে তিনি বিক্রি করেন আড়াই কোটি টাকায়৷

অথচ ওই ৮৯০ বর্গ মিটার জমিটি লেনদেনের আওতায় পড়েই না বলে অভিযোগ। একইভাবে বিক্রির যোগ্য নয় ৮৯০ বর্গ মিটারের ওই জমিটি ছাড়াও ১৩৫ ক্রমিকে ৮৬০ বর্গ মিটারের একটি জমি রয়েছে ব্রিজমোহনের। এ ছাড়াও, গত ২০ মে ২ হাজার ৬৫০ বর্গ মিটারের একটি জমি মন্দির কর্তৃপক্ষকে ৭ কোটি ৩৫ লক্ষ টাকায় বিক্রি করেন তিনি। যদিও বাজারদর অনুযায়ী জমিটির দাম ১ কোটি ১৭ লক্ষ টাকা।

এবিষয়ে অযোধ্যার জেলাশাসক তথা রামজন্মভূমি ট্রাস্টের অন্যতম সদস্য অনুজকুমার ঝার দাবি, ‘‘কোনও অভিযোগ জমা পড়েনি। অভিযোগ এলে পদক্ষেপ করা হবে৷’’ প্রশ্ন উঠছে, সরকারি জমি বেহাত হয়ে গেলে প্রশাসন কি স্বত:স্ফূর্তভাবে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারে না? জবাব মেলেনি জেলা শাসকের৷

স্বাভাবিকভাবেই অভিযোগ উঠেছে, ঘটনায় যেহেতু শাসকদলের চেয়ারম্যানের ভাইপোর নাম জড়িয়েছে তাই প্রশাসন এবিষয়ে নীরব দর্শকের ভূমিকা নিয়েছে৷ অভিযুক্ত বিজেপি নেতা বা তাঁর ভাইপোর অবশ্য কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি এবিষয়ে৷ ফলে জল শেষ পর্যন্ত কতদূর গড়ায়, আপাতত সেদিকেই নজর রাখছে সবমহল৷