“চটি পরে চার্টার্ড প্লেনে চড়ে গোয়া, চেন্নাই যাচ্ছেন একজন”, বললেন অনির্বাণ গাঙ্গুলি

অরুণাচলে বিমানবন্দর হওয়ার ফলে পশ্চিমবঙ্গ কিভাবে উপকৃত হবে, জানালেন অনির্বাণ গাঙ্গুলি

0
73
Anirban Ganguly

কলকাতা: শনিবার সকালে অরুণাচল প্রদেশের ইটানগরের কাছে হলঙ্গী নামক একটি জায়গায় গ্রিনফিল্ড বিমানবন্দর উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই বিমানবন্দরের ফলে দেশের বিভিন্ন মহানগরীগুলোর সঙ্গে অরুণাচল প্রদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থাকে মজবুত করার জন্য এই বিমানবন্দর অত্যন্ত কার্যকর হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। অরুণাচলের এই প্রথম বিমানবন্দরের ফলে পশ্চিমবঙ্গে কি প্রভাব পড়বে সেই নিয়ে বক্তব্য রাখলেন রাজ্য বিজেপির কোর কমিটির  সদস্য ডঃ অনির্বাণ গাঙ্গুলি Anirban Ganguly)। তিনি জানান, কেবলমাত্র বুধবার ব্যতীত সপ্তাহের বাকি দিনগুলোতে ইটানগর থেকে কলকাতার বিমান চলাচল করবে। তিনি বলেন, “উত্তরপূর্ব ভারতে যত বেশি জনসংযোগ বাড়লে উত্তরবঙ্গের উন্নয়ন আরও বেশি হবে”।

সারাদিনের সমস্ত খবরের আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন খাস খবর অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ: https://play.google.com/store/apps/details?id=app.aartsspl.khaskhobor

- Advertisement -

পাশাপাশি, অরুণাচল প্রদেশের উপর নিশ্বাস ফেলছে চিন। তাই ভারতের উত্তরপূর্বের এই রাজ্যের সঙ্গে সমগ্র দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়ন অত্যন্ত জরুরী ছিল বলে মন্তব্য করেন তিনি। সাধারন মানুষ যাতে বিমানে চড়তে পারে, সেই কারণে উড়ান স্কিমের অধীনে একাধিক গ্রিনফিল্ড বিমানবন্দর তৈরির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে মন্তব্য করেন তিনি। এদিনের বক্তব্যে নামোল্লেখ না করে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দপাধ্যায়ের উদ্দেশ্যেও হালকা কটাক্ষ ছুঁড়ে দেন অনির্বাণ গাঙ্গুলি (Anirban Ganguly)। তিনি বলেন, “সাধারণ মানুষ, অর্থাৎ চটি পরা মানুষ যাতে বিমানে চড়তে পারে এই কারণে এই গ্রিনফিল্ড বিমানবন্দর বানানোর পরিকল্পনা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তবে চটি পরে চার্টার্ড প্লেনে চড়ে গোয়া, চেন্নাই যাচ্ছেন একজন! সেই বিমানের প্রতিদিনের খরচ প্রায় ১-২ কোটি, পাইলটদের ভাড়া প্রায় কয়েক লক্ষ টাকা। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী সেইসব মানুষদের কথা মাথায় রেখে উড়ান স্কিম চালু করেন, যারা কোনদিন বিমানে চড়ার কথা ভাবতেও পারেন না”।

আরও পড়ুন- Viral Video: মেয়ের বাগদানের অনুষ্ঠানে এ কোন সাজে Aamir

“আলিপুরদুয়ারে বিমানবন্দর তৈরি করার জন্য কেন্দ্র সরকারের একাধিকবার আর্জি জানানো সত্ত্বেও রাজ্য সরকার সেই বিষয়ে কর্ণপাত করছে না”, বলে ক্ষোভ উগড়ে দেন তিনি। অনির্বাণ গাঙ্গুলি (Anirban Ganguly) বলেন, “একটা বিমানবন্দর তৈরি হলে তার পার্শ্ববর্তী এলাকার বিপুল পরিমাণ মানুষের কর্মসংস্থান হয়। সেই নিরিখেই আগামী কয়েকবছরের মধ্যে প্রায় ১৯০-২০০ টি বিমানবন্দর তৈরি করতে চান নরেন্দ্র মোদী। এই বিমানবন্দরকে কেন্দ্র করে সেই জায়গায় পর্যটন, অর্থনৈতিক ব্যবস্থা এবং এলাকার মানুষদের জীবনযাত্রার উন্নয়ন হয়”।