হাটে হাড়ি ভাঙলেন ব্রাত্য, জানিয়ে দিলেন নিয়োগ কেলেঙ্কারির নেপথ্যে কারা

0
78

পলাশ নস্কর, কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতিতে তোলপাড়া রাজ্য৷ ইতিমধ্যে গরাদের ভিতরে দিন কাটছে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী তথা দলের প্রাক্তন মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের৷ জেলে রয়েছেন মানিক ভট্টাচার্য সহ আরও অনেকে৷ গরু পাচারের দায়ে তিহার জেলে অনুব্রত মণ্ডল৷ এমন আবহে নিয়োগ কেলেঙ্কারির নেপথ্যে কারা, সবিস্তারে জানালেন রাজ্যের শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসু৷ ব্রাত্যর দাবি, ‘‘এখন যে শিক্ষায় দুর্নীতি হচ্ছে তার বীজ আগের সরকারের আমলে রোপন করা হয়েছে। সিবিআই ইডির উচিত তদন্ত করা।’’

নিজের যুক্তির স্বপক্ষে শিক্ষামন্ত্রীর দাবি, ‘‘আমি এমন সিপিএম পরিবার জানি যাদের পরিবারের ৪ জন শিক্ষা দফতরে চাকরি করে। অনেক অভিযোগ এসেছে সেগুলো আমরা তদন্ত করব। তবে তার আগে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করব।’’ এই প্রসঙ্গেই সিপিএমের কেন্দ্রীয় নেতা সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রীর প্রসঙ্গ টেনে এনেছেন ব্রাত্য৷ সাংবাদিক বৈঠকের শুরুতেই ব্রাত্য বলেন, ‘‘সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রীয়ের চাকরির বিষয়ে নিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার কিছু নথি পেশ হয়েছে৷ সেই বিষয়ে আমাকে মন্তব্য করতে বলা হয়েছিল৷ তার জন্যই আজকের এই সাংবাদিক সম্মেলন৷’’

- Advertisement -

এরপরই ব্রাত্য বলতে শুরু করেন, ‘‘ সুজনবাবুর স্ত্রী কি করতেন জানতাম না। আমরা এসব নজর রাখি না। এগুলো নজরে ওরা রাখতে পারে। সিপিএম নিজেদের স্বার্থে গ্ৰুপ সি এবং গ্ৰুপ ডি কে স্কুল সার্ভিস কমিশনের আওতায় আনেনি। সেই সময় সুজন চক্রবর্তী স্ত্রীর ইন্টারভিউ হয়েছিল কি না স্পষ্ট নয়। তা জানতে তদন্ত দরকার। তবে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত হবে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হবে কি না।’’

কেন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা, তার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন ব্রাত্য৷ তাঁর কথায়, ‘‘সুজনবাবুর স্ত্রী ১৯৮৭ সালে চাকরি পেলেও ২০১১ সাল থেকে তিনি রাজ্য সরকারের কর্মী। রাজ্য সরকার থেকে মাইনে নিয়েছেন। তাই মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা না করে সিদ্ধান্ত নিলে পরবর্তীতে মুখ্যমন্ত্রী বলতে পারেন উনি রাজ্য সরকারের কর্মী, ওনার বিরুদ্ধে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে কেন আমাকে জানানো হলো না!’’ একই সঙ্গে সুজনকে আক্রমণ করে ব্রাত্য বলেন, ‘‘সবাই জানে ৩৪ বছরে কি হয়েছে। কে উনি? হরিদাস পাল? প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী? পলিট ব্যুরো মেম্বার! উনি প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে নিজেকে তুলনা করছেন??’’

এরপরই বাম-কংগ্রেস আর বিজেপিকে এক বন্ধনীতে রেখে কটাক্ষের সুরে বলেছেন, ‘‘দিল্লি মে কুস্তি এখানে দোস্তি। আমরা বলেই আসছি, রাম বাম আর কংগ্রেস এখানে এক সঙ্গে রয়েছে।’’ নাম না করে এদিন অধীর রঞ্জন চৌধুরীর দিকে আঙুল তুলেছেন ব্রাত্য।

আরও পড়ুন: হাওড়ায় শিল্পে জোয়ার, দেড় লক্ষ কর্মসংস্থানের ঘোষণা মন্ত্রীর, বিরোধীরা বলছে- ফাঁকা আওয়াজ