১১ বছরের দিদি-জমানা: বাংলায় কিসের চাকরি হয়েছে, খোলামেলা জানালেন শুভেন্দু

0
39

সুমন বটব্যাল, কলকাতা: বদলা নয়, বদল চায়৷ স্লোগানকে সামনে রেখেই ২০১১ সালে ৩৪ বছরের বাম সরকারকে হঠাতে সক্ষম হয়েছিল তৃণমূল৷ ১১ বছরের ‘দিদি-জমানায়’ বাংলায় এক্কেবারে কিছুই হয়নি, এমনটাও হয়নি৷ চাকরিও হয়েছে৷ কি সেই চাকরি, এবার খোলামেলা সেটাই জানালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী৷

আরও পড়ুন: ‘‘এত দুঃখ কেন, চিরদিন কেউ মুখ্যমন্ত্রী থাকে’’- মমতাকে তীব্র কটাক্ষ শুভেন্দুর

- Advertisement -

বুধবার রাতে ভবানীপুরের একটি কর্মী সভা থেকে ভবানীপুরের প্রার্থী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে শুভেন্দুকে সরাসরি বলতে শোনা যায়,‘‘আপনি কোনও চাকরি দেননি সেটা আমি বলতে পারি না৷ জমি, বাড়ি, বাংলো, স্ট্যাটাস এই চাকরিগুলো আপনি দিয়েছেন৷ কিন্তু বাংলার বেকারদের আপনি চাকরি দেননি৷’’

এই প্রসঙ্গেই জুড়ে দিয়েছেন, ‘‘বলেছিলেন বিনা পয়সায় ভ্যাকসিন দেব৷ অন রের্কড বলেছিলেন- ৫ মে থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিনা পয়সায় ভ্যাকসিন দেবেন৷ দিল্লি থেকে চাইব না৷ আজকে ৫ কোটি ভ্যাকসিন বাংলার লোকের গায়ে লেগেছে৷ তার মধ্যে ৪ কোটি ৮২ লক্ষ ভ্যাকসিন দিয়েছে নরেন্দ্র মোদী আর আপনি মাত্র ১৮ লক্ষ ভ্যাকসিন কিনে দিয়েছেন৷’’

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, নিজের বক্তব্যে শব্দ চয়ন এবং তথ্যগত দিক থেকে শুভেন্দু অনেককেই পিছনে ফেলে দিতে পারেন৷ তারই জেরে ইতিমধ্যেই শুভেন্দুর ভাষণ শুনতে ভিড় বাড়ছে ভবানীপুরে৷ যা শাসকদলের চিন্তার কারণ হয়ে উঠেছে৷ ঠিক সেই কারণেই বুধবার সন্ধ্যায় চেতলার সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রীর ভোট-প্রার্থনার আর্জি কি না, তা নিয়েও চর্চ্চা শুরু হয়েছে ওই মহলে৷

প্রসঙ্গত, নন্দীগ্রামের থেকেও ভবানীপুরের প্রচারে শুভেন্দুকে আরও আক্রমণাত্মক বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা৷ বুধের রাতে ভবানীপুর থেকে রাজ্যের মানুষের উদ্দেশ্যে তাঁকে যেমন বলতে শোনা গিয়েছে, ‘‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার এবার আপনার ডান্ডা হতে চলেছে৷ অপেক্ষা করুন৷ ২ কোটি লোক আবেদন করেছিল৷ ৪৫ লক্ষ লোকের নাম বাদ গিয়েছে৷ আপনি বাংলার মায়েদের, দিদিদের ৫০০টাকা ভাতা দিয়ে তাদের শিক্ষা, মেধা সব শেষ করে দিতে চান৷ বাংলার মানুষ এটা চায় না৷ তাই বাংলার মানুষ বিজেপিকে এগিয়ে দিয়েছে৷ কংগ্রেস-সিপিএমকে তুলে দিয়েছে৷’’

তুলে ধরেছেন গেরুয়া শিবিরের পরিসংখ্যান: ২০১৬ বিজেপির ভোট ছিল ১০ শতাংশ৷ এখন আমরা ৩৮.১৩ শতাংশ৷ সেদিন বিজেপির ভোট ছিল ৫৫ লক্ষ, এখন ২ কোটি ২৮ লক্ষ৷ তিন জন বিধায়ক থেকে এখন ৭৭৷ এরপরই ভবানীপুরবাসীর উদ্দেশ্যে নন্দীগ্রামের বিধায়কের আর্জি, ‘‘আপনারা প্লিজ ভোটের দিন বাড়ি থেকে বেরিয়ে নিজের ভোটটা দিয়ে আসুন৷ ওঁনার পরাজয় কেউ রুখতে পারবে না৷’’