মানবিক পুলিশের উদ্যোগে আড়াই মাস পর বাড়ি ফিরলেন নিখোঁজ বৃদ্ধ

0
264

কলকাতা: সীমান্তে ইতস্তত ভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন। জঙ্গি নয় তো! ডেকে শুরু হল জেরা। কথাবার্তায় বিস্তর অসঙ্গতি। সন্দেহে আরও ঘন হল! গল্পটা এখানেই চেনা ছকে এগোতে পারত। কিন্তু মানবিক পুলিশের উদ্যোগে অবশেষে আড়াই মাস ধরে নিখোঁজ বৃদ্ধকে ঈদের দিনে ফিরে পেলেন পরিজনেরা।

পুলিশ যে অমানবিক হয় এমনটা যে নয় সেটাই আরও একবার প্রমাণ করে দিলেন ঈদের দিন ডিউটিরত কাশীপুর থানার ওসি সমরেশ ঘোষ। ঈদের দিন পোলেরহাট বাজারের রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন এক ভবঘুরে। তখিনই ঈদের ডিউটি করছিলেন কাশীপুর থানার ওসি। সীমান্তে ইতস্তত ভাবে ঘুরে বেড়াতে দেখে প্রথমে সন্দেহ হলেও ভদ্রলোককে কাছে ডেকে নাম-ঠিকানা জিঞ্জাসা করেন সমরেশ বাবু। তবে সন্দেহজনক কিছুই মেলেনি। নাম ঠিকানা জোগাড় করে খবর দেওয়া হয় বাড়িতে। পরিবারের লোক এসে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।

- Advertisement -

আরও পড়ুন- ৩০ কেজির টিউমার অপারেশন করে তরুণীকে বাঁচালেন চিকিৎসকরা

জানা গিয়েছে, উদ্ধার হওয়া ব্যাক্তির নাম প্রদীপ পান্ডে (৫৯), বাড়ি উত্তর ২৪ পরগণার গাইঘাটা থানা এলাকার বেরি গ্রামে। প্রদীপের ভাই সন্দীপ কুমার পান্ডে বলেন, “গত আড়াই মাস ধরে অনেক খোঁজাখুজি করেও দাদার কোন সন্ধান পাইনি। কাশীপুর থানার ফোন পেয়ে পরিবারের সবাই খুব উচ্ছ্বসিত। আমরা খুব খুশি এবং কৃতজ্ঞ পুলিশের এমন মানবিক ব্যবহারের জন্য।” বছর তিরিশ আগে তাঁর দাদার মানসিক অস্থিরতা শুরু হয়। লেখা পড়া জানা, ক্লাব সংগঠন চালানো দাদা হঠাৎ করে ভুল বকা শুরু করেন। দাদাকে ফিরে পাওয়ার পর এমনটাই জানিয়েছেন প্রদীপের ভাই সন্দীপ কুমার পান্ডে।

পরিবার সূত্রে জানানো হয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে প্রদীপ পান্ডে চিকিৎসা চলছিল কিন্তু লকডাউন শুরু হওয়ায় ঠিকমত চিকিৎসা মেলেনি। সঠিক চিকিৎসা না পয়ার কারণেই আরও অসুস্থ হয়ে পড়েন প্রদীপ বাবু। গত ৬ মে হঠাৎ বাড়ি থেকে নিরুদ্দেশ হয়ে যান তিনি। ৯ তারিখ গাইঘাটা থানায় মিসিং ডায়েরী করেন পরিবারের লোকেরা। যদিও তাঁর কোন খোঁজ মেলেনি। অবশেষে বুধবার কাশীপুর থানার সৌজন্যে নিজের পরিবারের লোকেদের কাছে যেতে পেরে খুশি প্রদীপ বাবু ও তাঁর পরিজনেরা।