৫০ শতাংশের বেশি যাত্রী নিলেই কড়া শাস্তি, ফরমান জারি ফিরহাদের

0
41

কলকাতা: দেশে দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার পর থেকেই বাংলাতেও কিছু শিথিলতা রেখে জারি করা হয়েছিল লকডাউন। বন্ধ রাখা হয়েছিল সমস্ত গণপরিবহন ব্যবস্থা। সংক্রমণ কিছুটা কমাতে ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে বাস চালুর কথা মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু অফিস টাইমে বাসে ৫০ শতাংশ যাত্রী ছেড়ে গেটের বাইরে ঝুলতে দেখা যাচ্ছে যাত্রীদের। এই নিয়েই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন নিত্যযাত্রীরা। সেই কারণেই এবার কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন পরিবহণ দপ্তর।

করোনা সংক্রমণ যাতে বৃদ্ধি না পায় সেই কারণেই ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে বাস চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই নির্দেশ অফিস টাইমে মানা হচ্ছে না। তাতেই বাড়ছে সংক্রমণের আশঙ্কা। সেই কারণেই বেশিভাগ যাত্রী অভিযোগ জানিয়েছেন। অভিযোগের পরেই পরিবহণমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেছেন, “বেসরকারি বাসে বাড়তি ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ পেলে সেই বাসের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে যাত্রীদের টিকিট দেখিয়ে সেই বাসের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ জানাতে হবে। আর বাড়তি যাত্রী তুললে সেই বাসের ড্রাইভার এবং কন্ডাক্টরের বিরুদ্ধেও অতিমারী আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

- Advertisement -

আরও পড়ুন- রাজারহাট কাণ্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য: মাদক খাইয়ে টোটো চালকদের গাড়ি ছিনতাই করত দুষ্কৃতীরা

পরিবহণ মন্ত্রীর এই নির্দেশ দেওয়ার পর অল বেঙ্গল বাস মিনিবাস সমন্বয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক রাহুল চট্টোপাধ্যায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, “আইনের চোখে বাড়তি ভাড়া নেওয়াটা বেআইনি। কিন্তু আয়ের সঙ্গে ব্যয়ের সামঞ্জস্য নেই। সে কারণেই এটা হচ্ছে। আর এই ভাড়ায় পঞ্চাশ শতাংশ যাত্রী তুলে গাড়ি চালাতে হলে সে গাড়ি আর চলবে না।” বলতে গেলে ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে আগের ভাড়ায় রাস্তায় বাস চালাতে নারাজ বাস মালিকরা।

আরও পড়ুন- সপ্তাহ শেষে ছুটির দিনে মন ভালো করুন রোজ আইসক্রিম খেয়ে

এমনিতেই পেট্রল-ডিজেলর মূল্যবৃদ্ধির কারণে লকডাউন কাটিয়ে বাস চালু করার সময় থেকেই বাস ভাড়া বৃদ্ধির দাবি জানিয়ে আসছে। তবে সাধারণ মানুষের কথা ভেবে ভাড়া বৃদ্ধি করেনি সরকার। কিন্তু রাজ্যের পরিবহণ দফতর বারণ করলেও নিজেদের ইচ্ছামত ভাড়া নিচ্ছিল বাস কন্ডাক্টররা। এই মিয়েও জমা পড়েছিল অভিযোগ। বহুক্ষেত্রেই অতিরিক্ত ভাড়া চাইতে দেখা গিয়েছে শহরজুড়ে। এই নিয়ে পরিবহন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম কয়েকদিন আগেই জানিয়েছেন, অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া হলে সেই টিকিট দেখিয়ে যদি কোনও যাত্রী থানায় অভিযোগ করেন। তাহলে সত্যতা প্রমাণের পর বাসটির পারমিট বাতিল করা হবে।