শ্যামবাজারের কুকুর যেন টালিগঞ্জে না যায়, সতর্ক করলেন ফিরহাদ

0
100

কলকাতা: অনেকেই মজায় পথ কুকুরের লেজে পটকা বেঁধে উল্লাসে মেতে ওঠেন, আবার অনেকে শুয়ে থাকা পথ কুকুরের পায়ের উপর দিয়ে সাইকেলের চাকা তুলে দিয়ে আনন্দ পান, তাঁদের এখন সাবধান হওয়ার সময় এসেছে। কিন্তু, এবার পথ কুকুরদের ‘ফ্যামিলি প্ল্যানিং’য়ের উদ্যোগ নিল কলকাতা পুরসভা। আগামী ছ’মাসের মধ্যে ৮৪ হাজার পথ কুকুরকে জলাতঙ্কের ভ্যাকসিন, এবং ৪২ হাজার কুকুরকে নির্বীজ করার কর্মসূচী নেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমেই আগামীদিনে পথকুকুরের সংখ্যা কমিয়ে ফেলতে চায় পুরসভা।

আরও পড়ুনঃ সন্তান নষ্ট করে দিতে হবে, নাহলে তাঁকে ভুলে যেতে হবে, বিস্ফোরক অভিযোগ আমিরের বিরুদ্ধে

- Advertisement -

মঙ্গলবার উত্তর কলকাতার স্টার থিয়েটারে একটি অনুষ্ঠানে এই কর্মসূচির ঘোষণা করেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। একই সঙ্গে রাস্তার কুকুরদের চিকিত্‍সা-সহ আরও বেশকিছু বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়ার কথা আলোচনা হয়। বলা হয়, তারাতলায় নতুন ডগ পাউন্ড তৈরি হবে। এই মুহূর্তে কলকাতায় প্রায় একলক্ষ পথ কুকুর রয়েছে। প্রতিটি ওয়ার্ডে প্রায় ১ হাজার ৫০টি কুকুর রয়েছে। কুকুরের সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে। দ্রুত নির্বীজকরণ শুরু না হলে মানুষ সমস্যায় পড়বে বলে মনে করছে পুরসভা।

এদিনের অনুষ্ঠানে প্রাণীসম্পদ উন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ বলেন, ‘জলাতঙ্ক হলে নিশ্চিত মৃত্যু। গোটা পৃথিবীতে ৭০ হাজার মানুষ মারা যায়। কলকাতায় বছরে তিনজন মারা যান।’ কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘শহর এলাকায় কুকুর বাড়ছে। একদল কুকুরকে খাওয়ায়, একদল তাড়ায়। পুরকর্মীরা ভ্যাক্সিনেশন করতে গেলেই কুকুরপ্রেমীরা তাঁদের ঘেরাও করে। কুকুর নিয়ে যেতে দেয় না। কিন্তু কুকুররা পার্ক-সহ বিভিন্ন জায়গায় মলমূত্র ত্যাগ করে। তাই কুকুরের সংখ্যা কমাতে হবে।’

 

পাশাপাশি, তিনি বলেন, একবার চেতলা পার্কে কুকুরদের খাওয়ানো বন্ধ করেছিলাম। পরদিন দেবশ্রী রায় এসে বললেন, কুকুররা ওখানেই খাবে। দরকার হলে মানুষ অন্য জায়গায় মর্নিং ওয়াক করুক। তখন আমি ফাঁপরে পড়েছিলাম। তিনি তখন বিধায়ক এবং শোভন চ্যাটার্জীর ক্লোজ।’ ফিরহাদ আরও বলেন, ‘তাই কাউন্সিলরদের ওয়ার্ডের লোকজনকে বোঝানোর দায়িত্ব নিতে হবে। কারণ কুকুরের সঙ্গে অনেকের ইমোশন জড়িয়ে থাকে। কর্মীদের দেখতে হবে, শ্যমবাজারের কুকুর যেন টালিগঞ্জে না যায়। টিকার জন্য কোনও কুকুরকে নিয়ে যাওয়া হলে, সেটা কদিন অর আবার যথাস্থানে দিয়ে আসা হবে এই গ্যারান্টি দিতে হবে জনপ্রতিনিধিদেরই। দায়িত্ব নিয়ে সেই কাজটাও করতে হবে। আর যদি, তা না হয় ভোটটা বিরুদ্ধে চলে যাবে।