সল্টলেকে খোঁজ মিলল ‘ভূতে’র, কেয়ারটেকারই চোর তা কে বা জানত

0
66

কলকাতা: সর্ষের মধ্যেই ভূত৷ সল্টলেকের একাধিক বাড়িতে চুরির ঘটনায় দুটি বাড়ির পরিচারিকাকে গ্রেফতার করল পুলিশ৷ পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতরা হলেন শুভেন্দু বাউড়িয়া ও চৈতালী চট্টোপাধ্যায়৷ শুভেন্দুর বাড়ি ওড়িশায়৷ অন্যদিকে চৈতালির বাড়ি দমদম এলাকায়৷ ধৃতদের আজ তোলা হচ্ছে বিধাননগর আদালতে৷

আরও পড়ুন: অরাজনৈতিক ক্লাবের গায়ে রাজনীতির ছোঁয়া

- Advertisement -

পুলিশ সূত্রের খবর, গত ১০দিনে সল্টলেক বি ই ব্লকের ২৩৯, ১১৩ এবং ১১৯ নম্বর বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটে। খোয়া যায় লক্ষাধিক টাকা। ঘটনার তদন্ত শুরু করে বিধাননগর উত্তর থানার পুলিশ। এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখতে গিয়ে পুলিশ দেখে, রাত ১টা নাগাদ একজন যুবক এলাকায় সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করছে৷ খোঁজ নিয়ে পুলিশ জানতে পারে তার নাম শুভেন্দু বাউড়িয়া। ওড়িশার বাসিন্দা। বি ই ব্লকের একটি বাড়িতে কেয়ার টেকারের কাজ করত।

আরও পড়ুন: রাজ্যের অস্ত্র কারখানা বাঁচাতে বিক্ষোভ বংলাপক্ষ-র

পুলিশের দাবি, অভিযুক্তকে আটক করে জেরা শুরু করে সে চুরির ঘটনা স্বীকার করে৷ এরপরই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়৷ অন্যদিকে সল্টলেকের অপর একটি বাড়িতে চুরির ঘটনায় বাড়ির পরিচারিকা চৈতালি চট্টোপাধ্যায়কে দমদম এলাকা থেকে গ্রেফতার করে বিধাননগর উত্তর থানার পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর পুলিশের জেরায় চুরির কথা স্বীকার করেছে ওই অভিযুক্ত। আজ অভিযুক্তকে বিধাননগর মহকুমা আদালতে তোলা হবে। ধৃতকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে তদন্ত করার জন্য ইতিমধ্যেই আদালতে আবেদন জানিয়েছে পুলিশ৷ পরপর চুরির ঘটনায় অবশেষে দুষ্কৃতীরা পাকড়াও হওয়ায় স্বস্তির শ্বাস এলাকার বাসিন্দাদের চোখে, মুখে৷

তদন্তকারী দলের এক পুলিশ কর্তার কথায়, ‘‘বহু ক্ষেত্রে বাড়ির মালিকেরাও তথ্য গোপন করছেন৷ কিংবা তথ্য জানাতে তাঁদের একাংশের মধ্যে অনীহা কাজ করছে৷ ফলে বাইরে থেকে অনেকেই কেয়ারটেকারের কাজ করার জন্য ঘাঁটি গাড়ছে৷ তারপর সুযোগ বুঝে মালিকের বাড়িতেই চুরি করে পালিয়ে যাচ্ছে৷’’ ওই পুলিশ কর্তার কথায়, ‘‘নিজেদের সুরক্ষার জন্যই বাসিন্দাদের বারংবার যাবতীয় তথ্য থানায় জানানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে৷ প্রয়োজনে আবারও আমরা সেই সচেতনতার বার্তা দেব৷ কিন্তু নাগরিকরা নিজেরা যদি এবিষয়ে আমাদের সাহায্য করতে না এগিয়ে আসেন তাহলে কি বা করার থাকতে পারে৷’’