বইপাড়ার সংকটে ‘মিত্র ও ঘোষ’-এর এক অভিনব প্রয়াস   

0
604

বৈশালী চট্টোপাধ্যায়: এ এক ভয়াবহ সংকট। ‘অশনি সংকেত’ ছবির মতো এ যেন সেই একমুঠো চাল পাওয়ার জন্য হাহাকারের সময় চলছে। একে তো করোনার অভিশাপ তার মধ্যে আমফানের তাণ্ডব। রাস্তাজুড়ে লুটিয়ে রয়েছে বই। ব্যবসায় মন্দা। এমনই এক কঠিন পরিস্থিতির শিকার কলেজ স্ট্রিটের বইপাড়া।

ছোট ছোট প্রকাশন এবং বই ব্যবসায়ীরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। এহেন পরিস্থিতিতে অভিনব পর্যাসে তাঁদের পাশে দাঁড়াল প্রতিষ্ঠিত প্রকাশন সংস্থা মিত্র ও ঘোষ পাবলিশার্স প্রাইভেট লিমিটেড। এই সমস্ত মানুষদের কথা ভেবেই এগিয়ে এলেন সংস্থার কর্ণধার ইন্দ্রাণী রায়।

- Advertisement -

খাস খবরকে তিনি জানান, লকডাউন চলাকালীন মিত্র ও ঘোষের তরফ থেকে একটি কমিউনিটি কিচেনের ব্যবস্থা করা হয়। সেখানে প্রায় প্রতিদিন ৭০০ লোক খাচ্ছিলেন। তারপরে আমফানের তাণ্ডবে ক্ষয়ক্ষতির অবস্থা দেখেই তিনি তাঁর বাবা সবিতেন্দ্রনাথ রায় অর্থাৎ বইপাড়ার খুব পরিচিত ভানুবাবু, তাঁর সঙ্গে আলোচনা করলেন এই বিষয়ে।

 

ইন্দ্রাণীদেবী এই নিয়েই ভাবনাচিন্তা করছিলেন এই সময়েই তাঁর কথা হয় তাঁর এক বান্ধবী শর্বরী দাশগুপ্ত-এর সঙ্গে। এই বিষয়েই আলোচনা প্রসঙ্গে তাঁর ওই বান্ধবী ‘মিলাপ’-এর কথা জানান তাঁকে। ‘মিলাপ’ সংস্থাটি এরকমই ক্রাউড ফান্ডিং-এর কাজ করে। ‘মিলাপ’-এর সঙ্গে যোগাযোগের পরেই এই বিষয় নিয়ে ময়দানে নেমে পড়েন ইন্দ্রাণী রায়।

এই সমস্ত ছোট ব্যবসায়ীদের এবং প্রকাশনের পাশে দাঁড়ানোর জন্য আহ্বান জানালেন সকল মানুষকে। যদিও প্রথমে খুব একতা আশা রাখেননি তিনি। কিন্তু দুদিনের মধ্যেই প্রায় ২ লক্ষ টাকা সংগ্রহ করার পরেই কাজ এগোনো শুরু করলেন। সর্বশেষ প্রায় সাড়ে ১৪ লক্ষ অবধি ফান্ডিং করে ফেলেছেন তিনি।

তিনি জানিয়েছেন, বুধবার পর্যন্ত ৩৯ জন ছোট পুস্তক বিক্রেতা এবং প্রকাশককে টাকা দিয়েছেন তাঁরা। প্রত্যেককে ১০ হাজার করে টাকা দেওয়া হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে। এখনও আরও বেশ কিছুজনকে টাকা দেওয়ার কাজ চলছে। ৫০এরও বেশি অ্যাপ্লিকেশন এখনও জমা পড়ে আছে, যা নিয়ে কাজ করছেন তাঁরা।