‘ফেলো কড়ি, মাখো তেল’, এমসিআইয়ের নয়া নির্দেশে খাবি খাচ্ছে দরিদ্রদের ডাক্তারি পড়ার স্বপ্ন

0
77

কলকাতা: সারা দেশে ডাক্তারি পড়ার অধিকার প্রাপ্তির একমাত্র প্রবেশিকা পরীক্ষা হল নিট। অনেকটা রেসের মাঠের ঘোড়ার মত প্রায় এক বছর বা তারও বেশি সময় কঠিন অনুশীলনে মগ্ন হয় লক্ষ লক্ষ ছাত্র-ছাত্রীরা। কিন্তু এই ভাগ্য খোলে মাত্র কয়েকজনের। পরিসংখ্যান বলছে, এই কঠিন লড়াইয়ে বিপর্যস্ত হয়ে কতজন যে অবসাদে ডুবে যায় তার হিসাব কেউ রাখে না। এই পরিস্থিতিতে এবার হবু ডাক্তারদের জন্য সুখবর।

আরও পড়ুনঃ চোরাচালান রুখতে ফের সীমান্তে BSF-এর গুলি, জখম এক বাংলাদেশি

- Advertisement -

সর্বভারতীয় মেডিক্যাল প্রবেশিকা নিটের স্নাতকোত্তর স্তরে কাউন্সেলিং নিয়ে জট কাটল। এমবিবিএস, বিডিএস, এমডি, এমএস এবং এমডিএস-এর জন্য আর্থিকভাবে দুর্বল এবং অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির পড়ুয়াদের জন্য যথাক্রমে ১০ এবং ২৭ শতাংশ সংরক্ষণের শর্তে ভর্তির অনুমতি দিল সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি এ এস বোপান্নার বেঞ্চ এই রায় দিয়েছে।

আরও পড়ুনঃ Elephant: বন্য হাতির তাণ্ডবে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী, বিশেষ উদ্যোগ নিচ্ছে বনদফতর

২০২১ সালের জুলাই মাসে কেন্দ্রীয় সরকার এবং মেডিক্যাল কাউন্সেলিং কমিটি আর্থিক ভাবে দুর্বল এবং অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির জন্য সংরক্ষণের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। অর্থনৈতিক দুর্বলতার মাপকাঠি হিসেবে বাৎসরিক আয়ের ঊর্ধ্বসীমা ৮ লাখ টাকা বেঁধে দেওয়া হয়। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মামলা হয় সুপ্রিম কোর্টে। সংরক্ষণের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে শীর্ষ আদালতে পিটিশন জমা পড়ায় স্নাতকোত্তর মেডিক্যালের কাউন্সেলিং স্থগিত রাখতে হয়। যার দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন জুনিয়র ডাক্তাররা।

বৃহস্পতিবার মামলার শুনানিতে বিচারপতিরা জানিয়েছেন “দুদিন ধরে আদালতে শুনানি শুনছি আমরা। জাতীয় স্বার্থেই কাউন্সেলিং শুরু হওয়া দরকার।” অন্যদিকে, মামলাকারীদের আইনজীবী শ্যাম দিওয়ান বলেন, “এই ভাবে মাঝপথে নিয়ম পাল্টে দেওয়া যায় না।” যদিও সেই যুক্তি মানতে চাননি বিচারপতিরা। সেকারণেই তাঁরা কেন্দ্রের সিদ্ধান্তকেই শিলমোহর দিয়েছে। অর্থনৈতিক দুর্বলতার মাপকাঠি হিসেবে বাৎসরিক আয়ের ঊর্ধ্বসীমা ৮ লাখ টাকাই বহাল রাখা হয়েছে। এই নিয়ে পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে চলতি বছরের মার্চ মাসে।