ভয় না পেলে কেন বললেন একথা, মুখ্যমন্ত্রীকে প্রশ্ন নেটিজেনদের

0
29

কলকাতা : ইডি বা সিবিআই কে ভয় পান না মুখ্যমন্ত্রী। তৃণমূলের অন্দরে এখন ইডির হানাতেও থিতু হননি মমতা বন্দ্যোপাধায়। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারের পরেই স্বরগরম রাজ্য রাজনীতিতে। একদিকে তৃণমুলের নেতারা মুখ খুলতে চাইছিলেন না সেভাবে, অন্যদিকে মমতাও মুখে কুলুপ এঁটেছিলেন। কিন্তু সুযোগের সদ্ব্যবহার করে এবার বঙ্গবিভূষণের মঞ্চে দাঁড়িয়েই সাহিত্য-শিল্পকে গুলি মেরে সোজা রাজনীতি নিয়ে কোমর বেঁধে নেমে পড়লেন দিদিমণি। জল্পনা বাড়ছে, তবে কি বিরোধীদের যোগ্য জবাব দেওয়ার মঞ্চ পাচ্ছিলেন না মমতা!

পার্থবাবুর গ্রেফতারির পরেই মমতাকে ফোনে না পাওয়া প্রসঙ্গে জল্পনা শুরু করেছে বিরোধী মহল। ইডির অ্যারেস্ট মেমোতে এদিকে নাম উঠে গিয়েছে দিদিমণির। কিন্তু তাতেও দিদি ভয় পাচ্ছেন না। এমনটাই বার্তা দিলেন নজরুল মঞ্চ থেকে মমতা। কিন্তু রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা প্রশ্ন তুলছেন একজন মুখ্যমন্ত্রী ওই মঞ্চে দাঁড়িয়ে কিভাবে রাজনীতির প্রসঙ্গ টানলেন? প্রশ্নটার উত্তর খুঁজতে গিয়েই আরও বেশ কিছু প্রশ্ন উঠছে রাজনৈতিক মহলে। মুখ্যমন্ত্রী বারবার বলছেন তিনি ভয় পান না। কিন্তু বারবার বলা সত্ত্বেও এরকম মঞ্চে মাইক হাতে মুখ্যমন্ত্রীকে মরিয়া হয়ে রাজনৈতিক প্রসঙ্গ টানতে কেন হল?

- Advertisement -

এতদিন পার্থ প্রসঙ্গে মুখ খোলেননি কিন্তু এখন ইডির অ্যারেস্ট মেমোতে নাম ওঠার পরেই কি মুখ খুললেন মমতা? একদিকে মঞ্চে হাজির শিল্পীরা, অন্যদিকে শিল্পীদের পুরস্কৃত করা হবে, এমন এক অনুষ্ঠানে পার্থবাবুর গ্রেফতার প্রসঙ্গ টেনে মুখ্যমন্ত্রী প্রমাণ করে দিলেন তিনি যেন মরিয়া হয়ে মঞ্চ খুঁজছিলেন সমস্তটা উগড়ে দেওয়ার জন্য, এমন এক মঞ্চ যেখানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখোমুখিও হতে হবে দিদিমণিকে। এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

শুধু তাই নয়, পার্থর বান্ধবীর সঙ্গে একই মঞ্চে তাঁর উপস্থিতি নিয়েও ব্যাখ্যা দেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, আমার ছবির সঙ্গে টাকার পাহাড়ের ছবি দিয়ে কুৎসা রটাচ্ছে বিরোধীরা। কয়েকটি রাজনৈতিক দলের আচরণে আমি সত্যিই দুঃখিত। আমি পুজোয় যাই। অর্গানাইজাররা যদি কাউকে স্টেজে আগে থেকে ডেকে রাখে, তাতে আমি কী করতে পারি। তার মানে আমি পুজো প্যান্ডেলে যাব না? যদি কেউ চোর হয়, ডাকাত হয়, তৃণমূল রেয়াত করবে। কিন্তু অযথা আমার গায়ে কালি ছেটানো হলে আমি ছেড়ে কথা বলব না। আমার হাতেও আলকাতরা রয়েছে।

পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জেনে শুনে আমি কোনও দিন কাউকে অন্যায় করতে দিইনি। ভুল করার অধিকার আমার রয়েছে। অজ্ঞানে করলেন সংশোধনের সুযোগ দেওয়া উচিত। কিন্তু জ্ঞানত করা অপরাধ। আমি চাই, সত্য সামনে আসুক। সত্য প্রমাণ হলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিন। আমার কোনও আপত্তি নেই। তবে দিদির এই মন্তব্য যে ভয় নয় রুখে দাঁড়ানোর বার্তা তা মানতে চাইছে না রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।