ফের শোকস্তব্ধ বাংলার সাহিত্য-মহল, প্রয়াত নারায়ণ দেবনাথ

0
590

খাস খবর ডেস্ক: শৈশবের সোনালী অতীত শেষ হয়ে গেল বাঙালির। চিরনিদ্রায় নারায়ণ দেবনাথ। হাঁদা-ভোঁদা, নন্টে-ফন্টে, বাহাদুর বেড়ালদের দিয়েই শুরু হয় বঙ্গসন্তানদের সাহিত্য চর্চা। চরিত্রদের অমর করে রাখার মাধ্যমে স্রষ্টা নিজেও চির অমর হয়ে রইলেন। মঙ্গলবার কলকাতার বেলভিউ হাসপাতালে ৯৭ বছর বয়সে প্রয়াণ ঘটল প্রবাদপ্রতিম কার্টুনিস্টের।

বার্ধক্যজনিত সমস্যায় গত ২৫ দিন ধরে বেলভিউতে ভর্তি ছিলেন নারায়ণ দেবনাথ। গত বৃহস্পতিবার সেখানেই তাঁর হাতে পদ্মশ্রী তুলে দেন রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ রায় এবং স্বরাষ্ট্র সচিব বিপি গোপালিকা। এরপর-ই অতি সঙ্কটজনক হতে শুরু করে অবস্থা। শনিবার রাত থেকেই তাঁকে রাখা হয়েছিল ভেন্টিলেশনে। অবশেষে এদিন সকাল ১০টা ১৫ নাগাদ সব লড়াই শেষ। চিরকালের মত চিরশান্তি’র দেশে চলে গেলেন কিংবদন্তি কার্টুনিস্ট তথা সাহিত্যিক।

- Advertisement -

১৯২৫ সালে প্রয়াত সাহিত্যিকের জন্ম হয় হাওড়ার শিবপুরে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় আর্ট কলেজে ভর্তি হলেও শেষপর্যন্ত সে কোর্স সম্পূর্ণ করেননি। বদলে চলে আসেন বিজ্ঞাপনের দুনিয়ায়। তাঁর বাঁটুল দি গ্রেট, হাঁদা, ভোঁদা, নন্টে, ফন্টে, কেল্টু, বাহাদুর বেড়াল, ডানপিটে খাঁদুরা কেউই যেন নিছক কমিকস চরিত্র নয়। বাঙালির মননে বাস এদের। এছাড়া তাঁর “ইন্দ্রজিৎ রায় এবং ব্ল্যাক ডায়মন্ড” সিরিজও রীতিমত মন কেড়ে নিয়েছে গোয়েন্দা কাহিনী পিপাসুদের।

নারায়ণ দেবনাথ তাঁর জীবনে একাধিক সম্মানের অধিকারী হয়েছেন। ২০১৩ সালে সাহিত্য আকাদেমি-র পাশাপাশি লাভ করেন “বঙ্গবিভূষণ”ও। পদ্মশ্রী পান বস্তুতঃ ২০২১ সালে। কিন্তু এ বছরের ১৩ জানুয়ারি তাঁর হাতে আসে সে পুরস্কার। নারায়ণবাবুর মৃত্যুতে শোকের ছায়া বঙ্গীয় সাহিত্য জগতে।