High Alert : জঙ্গি হানার আশঙ্কায় পুজোর বাংলায় জারি হাই অ্যালার্ট

জানিয়ে রাখা ভালো আফগানিস্তানে অগাস্ট মাসে তালিবানদের উত্থানের কারণেই ভারত জুড়ে এই শঙ্কা তৈরি হয়েছে। পুজোর সময় বাংলায় যে কোনও বিপদ এড়াতে রাজ্য উচ্চ সতর্কতা জারি করেছে। প্রশাসনকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

0
107

কলকাতা: এক মাস আগেই দিল্লি পুলিশের বিশেষ সেলের হাতে গ্রেফতার হয়েছিল ছয়জন পাক জঙ্গি। তাদের জেরা করেই গোয়েন্দারা জানতে পেরেছিল ভারতের বড় শহরে উৎসবের মরসুমে বড় জঙ্গি হানার আশঙ্কা ছিল। সেখানে তখন নাম ছিল না বাংলার। তবে ইদানিং সন্ত্রাসবাদীদের হ্মলা যেভাবে বাড়ছে তাতে কখন কিহয় কেউি বলতে পারে না। রাজ্যে শুরু হয়েছে বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো। এই আনন্দ কোনভাবেই যাতে মাটি হয়ে নাজায় সেই কারণে নাশকতার আশঙ্কা থেকে রাজ্য সরকার সতর্কতা জারি করেছে।

১২-১৫ অক্টোবর দুর্গাপুজা ও দশেরা পালিত হবে বলেই জানিয়েছে রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতর। এই সময়ে জঙ্গি গোষ্ঠীগুলি ভিড় জায়গাতে যেকোনো রকম হামলা ঘটিয়ে অশান্তি তৈরি করতে পারে। সুরক্ষা নিয়ে উঠতে পারে প্রশ্ন । এই আশঙ্কা প্রকাশ করে উচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফে। জানিয়ে রাখা ভালো আফগানিস্তানে অগাস্ট মাসে তালিবানদের উত্থানের কারণেই ভারত জুড়ে এই শঙ্কা তৈরি হয়েছে। পুজোর সময় বাংলায় যে কোনও বিপদ এড়াতে রাজ্য উচ্চ সতর্কতা জারি করেছে। প্রশাসনকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কোনও সন্দেহজনক কিছু লক্ষ্য করলেও দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও জানানো হয়েছে।

- Advertisement -

আরও পড়ুন- Jammu-Kashmir Situation: ভারতের ভূস্বর্গের ‘অবনতির’ জন্য দায়ী মোদী সরকার, দাবি মুফতির

দুর্গাপুজোয় জঙ্গি হানা করে ভয় বৃদ্ধি ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রিতি নষ্টের চেষ্টা হতে পারে। এমনটা হলে সরকারের দায়িত্ব নিয়েও উঠবে বড় প্রশ্ন। এই অবাঞ্ছিত জিনিস এড়াতেই আগে থেকেই সতর্কবার্তা। পুজো মণ্ডপগুলিতে ক্লোজ্ড সার্কিট ক্যামেরা এবং ‘ওয়াচ টাওয়া’ বসানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বাড়তি নজরদারির ব্যবস্থা হচ্ছে ঘন বসতিপূর্ণ, স্পর্শকাতর, গুরুত্বপূর্ণ এবং মিশ্র এলাকাগুলিতে। পুলিশ সহ সকলকেই চোখকান খোলা রাখার নির্দেশ দেওয়া দেওয়া। এই নির্দেশিকার কারণ হল তালিবানদের উত্থান ও সম্প্রতি কাশ্মীরের ঘটে যাওয়া ঘটনা। রাজ্যবাসীর সুরক্ষা নিয়ে তাই কোনও ফাঁক রাখতে চাইছে না নবান্ন।

অন্যদিকে পুজোর চার দিন ছাড়াও বিসর্জনের সময়েও কড়া নজরদারি চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রতিমা বিসর্জনের দিনও ঘোষণা করেছে নবান্ন। ১৫, ১৬, ১৭ এবং ১৮ অক্টোবর কলকাতা পুলিশের এলাকায় গঙ্গার ২৪টি ঘাট-সহ মোট ৭০টি ঘাটে বিসর্জন হবে বলেই জানিয়ে দিয়েছে নবান্ন। গঙ্গার ঘাটেও চলবে কড়া নজরদারি। থাকবে কলকাতার সাদা পোশাকের পুলিশ ও পর্যাপ্ত বাহিনী ও বিপর্যয় মোকাবিলা দল। শুধু সুরক্ষাবাহিনী নয় সিসি ক্যামেরা দিয়েও কড়া হবে পর্যবেক্ষণ।

জানিয়ে রাখা ভাল, আফগানিস্তানে তালিবানদের উত্থানের পরেই বাংলা থেকে বেশ কয়েকজনের যোগের কথা প্রকাশ্যে এসেছিল। এমনকি দিল্লি পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়া ছয় জঙ্গি জানিয়েছিল তাদের সঙ্গে ট্রেনিং নেওয়ার সময় বেশ অনেকজনকেই বাংলায় কথা বলত। সব দিক বিচার করেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মানুষের মধ্যে সন্ত্রাসের ভয় ছড়িয়ে দেওয়া ও ক্ষতি করাই তাদের একমাত্র লক্ষ্য। সেই অঘটন যাতে বাংলায় না ঘটে তাই এই নিরাপত্তা ব্যবস্থা।