Diwali 2021: কদিন পরেই দেওয়ালি, তবু ক্রেতা শুন্য এলাকা : মন ভাল নেই বাজি শিল্পীদের

0
94

খাস খবর ডেস্ক: দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার নুঙ্গি। এই সময়ে নুঙ্গির দৌলতপুর মেন রোড দিয়ে হাঁটা যায় না। বাজিপ্রেমীরা ভিড় জমান এখানে। পাইকারি দরে হরেক রকম বাজির খোঁজে দূরদুরান্তের দোকানদারেরাও আসেন। তবে দুইবছর ধরে ছবিটা একেবারে অন্য। কোভিডে বাজি নিষিদ্ধ হয়েছিল গত বছরই। কিন্তু, এখনও সরকার জানায়নি, এইবছর বাজি ফাটানো যাবে কিনা। উৎসবের সময় ব্যবসা শুরুর মুখে মাথায় হাত বাজি ব্যবসায়ীদের।

আরও পড়ুনঃ Market: উর্ধমুখী সবজি, ফল, মাছের দাম: কারণ জানতে বাজারে হানা ইডির

- Advertisement -

করোনা আবহে গতবছর কালীপুজো ও দীপাবলিতে বাজি পোড়ানোর উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। আদালতের নির্দেশ ছিল, পুলিশকে কড়া হাতে বাজি ক্রয়-বিক্রয় বা ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। বাজি কোথাও ব্যবহার করা হচ্ছে কিনা নিয়মিত নজরদারি চালাতে বলা হয় পুলিশকে। করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে বাজি না ফাটিয়ে কালীপুজো উদযাপনের ডাক দিয়েছিল রাজ্য সরকারও। তবে এইবার কি পরিস্থিতি হবে তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।

আরও পড়ুনঃ Jammu-Kashmir: নিরাপত্তা নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে আজ তিন দিনের কাশ্মীর সফরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

অন্যদিকে হাইকোর্টের রায়ে বাজি পোড়ানো বন্ধ হওয়ায় মালপত্র মজুত করে বিপদের মুখে পরেন রাজ্যের লক্ষাধিক বাজি বিক্রেতা। তবে, এই বছর এখনও কোনও নির্দেশ না এলেও হঠাৎ কি পরিস্থিতি হয়, এই আশঙ্কায় নতুন করে আর বাজি তৈরি করছে না নুঙ্গির বাজি বাজার। গত বছর ব্যবসায় লোকসান হয়েছে। এইবছরও তেমন কোনও আশা দেখা যাচ্ছে না। ফলে নিজেদের পুরনো ব্যবসা ছেড়ে দিচ্ছেন অনেকেই। বদলাচ্ছে বাজি বাজারের পুরনো সেই চিত্র। রীতিমতো অশনি সঙ্কেত দেখছে এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত পরিবারের।

বিশেষজ্ঞদের মতে, বাজি পোড়ানোর ফলে বাতাসে দূষণের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। আর এই করোনা আবহে একেই বাতাস থেকে দূষণের মাত্রা কমানোর বদলে তা উলটে বেড়ে গেলে, সমস্যায় পড়বেন জনসাধারণ। আবার যদি কোন করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে বাজি থেকে নির্গত ধোঁয়া প্রবেশ করে, তাহলে সেই ব্যক্তির শ্বাসযন্ত্রের উপর মারাত্মক প্রভাব পড়তে পারে। বিশেষ করে কোভিডকালে এই ধোঁয়া যে প্রাণঘাতী পর্যন্ত হয়ে উঠতে পারে সে কথাও বলেছেন চিকিৎসকরা। তাই গতবার আদালত কালীপুজোয় বাজি পোড়ানোয় নিষেধাজ্ঞা জারি করে। এবারও উৎসবে যাতে কোনও বাজি না ফাটানো হয়, তার উপর নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আদালতে মামলা দায়ের হয়েছে।

বাজি ব্যবসায়ীদের কথায়, গতবার কালীপুজো, দীপাবলির পাশপাশি ছটপুজোতেও বাজি ফাটানোয় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল আদালত। এবারও সেই নির্দেশই বহাল থাকে কি না সেদিকেই নজর নুঙ্গির বাজি বাজারের সদস্যদের। এবারও বাজার বন্ধ থাকলে খেয়ে পরে বাঁচার লড়াইটাই ভয়ঙ্কর রূপ নেবে। নুঙ্গির বাজি ব্যবসায়ী সমিতির গোপাল দাস বলেছেন, ‘অন্য বছর এই সময় পাইকারি ক্রেতাদের ভিড় রাস্তায় শুধু মানুষের মাথা দেখা যায়। কিন্তু এবার হঠাৎই একেবারে ক্রেতাশূন্য হয়ে গিয়েছে।’