‘পেটে চর্বি হওয়ায় হাঁটতে অসুবিধা হচ্ছে’ হাঁসখালিকাণ্ডে ‘বুদ্ধিজীবী’দের কটাক্ষ দিলীপের

0
37

কলকাতা: প্রাতঃভ্রমণে আসেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ। হাঁসখালিকাণ্ড নিয়ে কটাক্ষ করতে শোনা যায় তাঁকে। পাশাপাশি, বাংলার একাধিক বিষয় নিয়েও মুখ খোলেন তিনি।

আরও পড়ুন: অবশেষে ১১ দিন পর গ্রেফতার মুসলিম মহিলাদের ধর্ষণের হুমকি দেওয়া ‘সাধু’ বজরং 

- Advertisement -

হাঁসখালিকাণ্ডে ‘বুদ্ধিজীবীদের’ কটাক্ষ করে দিলীপ ঘোষ বলেন, হাঁসখালির ঘটনায় কোনো মোমবাতি মিছিল হয়নি। যাদের মোমবাতি দেখিয়ে এতদিন পেট চলত। তাঁদের এখন পেটে এত চর্বি হয়ে গিয়েছে যে হাঁটতে অসুবিধা হচ্ছে। তাঁরা বুঝেছে, ‘আগে সব ইস্যুতে মোমবতি দেখিয়ে দোকান চললেও এখন মোমবাতি নিয়ে রাস্তায় বেরোলে দানাপানির অসুবিধা হয়ে যাবে।’ তাই এইধরণের বুদ্ধিজীবীদের থেকে সামান্য কিছুও ব্যর্থ বলে মনে করেন বিজেপি নেতা। তাঁর মতে, সোশ্যাল মিডিয়া এখন প্রতিবাদ দেখানোর একটা শর্টকাট মাধ্যম হয়ে গিয়েছে।

আরও পড়ুন: কথায়-কথায় সিবিআই হয়ে যাচ্ছে কেন, মমতার প্রশ্নের মুখে মলয়, কল্যাণরা 

এদিন বীরভূমের তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকেও নিশানা করেন তিনি। সকলকে রামমন্দিরের প্রসাদ নকুলদানা বিলি করেন দিলীপ ঘোষ। তিনি কটাক্ষের সুরে বলেন, ‘এতদিন যে নকুলদানা খাওয়াতো সে এখন হসপিটালের ভাত খাচ্ছে। কাউকেতো সেই দায়িত্বটা নিতে হবে। তাই আমি সবাইকে নকুল দানা খাওয়াচ্ছি। তিনি অনুব্রত প্রসঙ্গে আরও বলেন যে বাকি জীবনটা লালুপ্রসাদের মত কাটবে। তার দায়িত্ব আমরা তাই পালন করছি।

তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দোপাধ্যায়ের সংসদে স্পীকারের কাছে যাওয়া নিয়ে বঙ্গ বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি বলেন, ‘এখানে পুরো বিষয়টি প্রমাণ সাপেক্ষ। একজন সাংসদ স্পীকারের দ্বারস্থ হবেন এরপর বাকিটা স্পীকার ভালো বুঝবেন কি করা হবে। তিনি শাসক দলকে কটাক্ষ করে বলেন, ‘চারজন এমএলএ বাংলায় চুরি করে অন্য জায়গায় গিয়ে বিচার চাইছেন।’

গত কয়েকদিনে বাংলায় একাধিকবার রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করার দাবিতে সরব হয়েছে বিরোধীরা। এ প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষের মন্তব্য, ‘নিজেদের সুরক্ষার কথা ভেবে মানুষ যাদের ভোট দিয়েছে তারাই এখন বাংলা লুঠ করছে। সাধারণ মানুষের মনে আতঙ্ক ধরে গিয়েছে।’ রাজ্যের মানুষদের কথা ভেবে বিজেপি নেতা নিজেও কেন্দ্রের কাছে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করার আবেদন জানান।