তেলের খরচ না ওঠায় বন্ধ হয়ে যাচ্ছে একের পর এক রুটের বাস

0
46
Bus route

কলকাতা: একদিকে পেট্রপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি অন্যদিকে ফিটনেস সার্টিফিকেট না থাকা দুইয়ের চাপে পড়ে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে অফরুট একের পর এক রুটের বাস। ইতিমধ্যেই বন্ধ হয়ে গিয়েছে মুকুন্দপুর থেকে হাওড়া ২৪এ/১ রুট। বন্ধ ফলতা-বাবুঘাট ৮৩ নম্বর রুট। প্রায় বন্ধের দিকে এগোচ্ছে বাঘাযতীন-হাওড়া ১৭, এসডি৪ ঠাকুরপুকুর-যাদবপুর-সহ একাধিক রুট।

আরও পড়ুনঃ বগটুই গণহত্যার কিনারা করতে ‘ক্রস চেকিং’য়ের কৌশল সিবিআইয়ের

- Advertisement -

একধিক বাস মালিকদের বক্তব্য, তেলের দাম তো রয়েইছে, কিন্তু সমস্যা হচ্ছে গাড়ির সিএফ না থাকা। কারণ হাজার-হাজার টাকা জরিমানা দিয়ে এখন কোনও মালিকই আর বাসের সিএফ করাবেন না। অন্যদিকে, বাড়তি ভাড়া নিয়েও বিশেষ কোনও লাভ হচ্ছে না, তাও স্বীকার করেছেন অধিকাংশ মালিকই।

আরও পড়ুনঃ ১৪ বছরের নাবালিকা মেয়ের ধর্ষকের মুণ্ডু কেটে নদীতে ভাসিয়ে দিল বাবা

মোটর ভেহিক্যালস দফতরের নিয়ম অনুযায়ী, যেদিন থেকে গাড়ির সিএফ ফেল সেদিন থেকে জরিমানা ধার্য হবে। প্রতিদিন ৫০ টাকা করে বাড়বে। সঙ্গে সিএফ ফি বাবদ দিতে হবে ৮৪০ টাকা। কিন্তু, কোনও গাড়ি চার বছর আগে শেষবার সিএফ করিয়েছিল, সেক্ষেত্রে যদি জরিমানা মকুব না হয় তবে সেই গাড়ির সিএফ করাতে প্রায় ৫০ হাজারের বেশি টাকা জরিমানাই দিতে হবে। সরকার তাই বাসকে রাস্তায় নামাতে সেই জরিমানা মকুব করে দেড় হাজার টাকায় সিএফ করানোর কথা ঘোষণা করেছিল। কিন্তু তা এখনও শুরু হয়নি। তাই একের পর এক বাস অফরুট হয়ে যাচ্ছে। যার ফল ভোগ করতে হচ্চে সাধারণ নিত্যযাত্রীদের।

বৈধ নথি ছাড়া কোনও বাস যাতে চলতে না পারে, তা নিশ্চিত করার জন্য পরিবহনমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম পুলিশকে নির্দেশ দেন। তারপরেই শুরু হয় বিশেষ অভিযান। দেখা যায়, রাস্তায় চলাচলকারী বাসগুলির বেশিরভাগের কাছেই ফিটনেস সার্টিফিকেট নেই। এমনকি, বহু বাসের সঠিক রক্ষণাবেক্ষণ হয় না। পুরোনো তাপ্পি মারা টায়ারেই চলছে। যাত্রী নিরাপত্তার কথা ভাবছে না বাসগুলি। তারপরই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন।