কলকাতা: শিক্ষা থেকে চেতনা আসে। সেই চেতনা থেকে বিপ্লব কতটা আসে তা নিয়ে সন্দেহ আছে। তবে শিক্ষা থেকে প্রাপ্ত চেতনা সমাজকে সুন্দর করে গড়ে তুলতে অনেকটাই সহায়ক হয়। সেই শিক্ষার শুরুটা হওয়া উচিৎ শৈশব থেকেই। আর শৈশব ধরে রাখতে বিশেষভাবে প্রয়োজন হচ্ছে শিশুদের সামাজিক সুরক্ষা।
সমাজের শিশুদের অধিকার রক্ষার কাজে বিশেষ অগ্রণী ভূমিকা নিয়ে এগিয়ে এল শ্রী দীপক ফাউন্ডেশন। কলকাতার এই প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে যুক্ত রয়েছে দক্ষিণ ভারতের শ্রী দয়া ফাউন্ডেশন। দক্ষিণী এই সংস্থাটির প্রধান হলেন সঙ্গীত শিল্পী লতা রজনীকান্ত। যিনি সম্পর্কে সুপারস্টার রজনীকান্তের স্ত্রী। অভিনেতা রজনীকান্তের পৃষ্ঠপোষকতায় চলে শ্রী দয়া ফাউন্ডেশন।
বিহার, ঝাড়খণ্ড, ওডিশাসহ উত্তর-পূর্ব ভারতের সকল রাজ্যে শিশুদের সামাজিক সুরক্ষা এবং অধিকার রক্ষায় কাজ করে থাকে এই শ্রী দয়া ফাউন্ডেশন। দুঃস্থ এবং পথের শিশুদের শিক্ষা, দক্ষতার উন্নতি, সামাজিক পুনর্বাসন এবং শিশুদের জন্য হাসপাতাল গড়েছে দক্ষিণের সংস্থাটি। পশ্চিমবঙ্গেও তাদের কর্মকাণ্ডের পরিধি বিস্তৃত আছে। পশ্চিমবঙ্গ সহ উত্তর-পূর্ব ভারতের সকল রাজ্যে শ্রী দয়া ফাউন্ডেশনের সহযোদ্ধা হচ্ছে শ্রী দীপক ফাউন্ডেশন। যার সদর দফতর অবস্থিত কলকাতার পূর্ণ দাস রোডে। বাংলায় অবস্থিত প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনা করেন শ্রীমতী জয়ীতা দাসগুপ্ত।
দীপক ফাউন্ডেশনের চেয়ারপার্সন জয়ীতাদেবী জানিয়েছেন যে সমাজের সকল শিশুদের শিক্ষা, দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য আমরা একটি উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। সব শিশুদেরই স্বাস্থ্যকর, সুখী ও পরিপূর্ণ জীবনের অধিকার রয়েছে। দারিদ্র্ এবং কখনও কখনও কিছু সামাজিক কলঙ্ক এবং পরিস্থিতির কারণে স্বাভাবিক জীবন এই শিশুদের উপযুক্ত শিক্ষা এবং স্বাস্থ্যসেবার প্রতিবন্ধক হয়ে ওঠে।
দক্ষিণের দয়া ফাউন্ডেশন এই একই উদ্দেশ্য নিয়ে চলে। সেই কারণেই তাদের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছিল শ্রী দীপক ফাউন্ডেশন। সংস্থার চেয়ারপার্সন জয়ীতা দাসগুপ্ত বলেছেন, “সামাজিক রূপান্তরকরণের জন্য শিক্ষাই সর্বাধিক শক্তিশালী অনুঘটক। তবে শিশু শিক্ষা বিচ্ছিন্নভাবে করা যায় না। একটি শিশুকে অন্যের সাথে স্কুলে যেতে হয় এবং সম্প্রদায় বা সামাজিকীকরণের সারাংশ অনুভব করতে হয়। একসাথে কেবল আমরা একটি পরিমার্জিত এবং সুন্দর সমাজ গঠন করতে পারি। দীপক ফাউন্ডেশন শিশু স্বাস্থ্যসেবা এবং শিক্ষার জন্য এই উদ্যোগে দয়া ফাউন্ডেশনের সাথে যুক্ত হওয়ার সুযোগ পেয়েছে।” যৌথ প্রয়াসে লক্ষ পূরণের সাফল্য লাভ হবে বলেও দাবি করেছেন জয়ীতাদেবী।
বড় এবং মহৎ উদ্দেশ্য নিয়ে যাত্রা শুরু করা সহজ হলেও সাফল্য লাভ বেশ কঠিন। স্বপ্ন পূরণের দৃঢ় সংকল্প এবং কঠোর পরিশ্রমের প্রয়োজন রয়েছে তা বিলক্ষণ জানেন শ্রী দীপক ফাউন্ডেশনের চেয়ারপার্সন জয়ীতা দাসগুপ্ত। তবে আশাহত হওয়ার কোনও প্রশ্ন নেক বলেও দাবি করেছেন তিনি। তাঁর কথায়, “যেখানে সদিচ্ছা বেশি, সেখানে সমস্যাগুলি বড় হতে পারে না”