ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসতেই নড়ে চড়ে বসল সিবিআই, FIR খারিজের আবেদন

0
45
OMR SHEET OF cbi

কলকাতা: বগটুই গণহত্যা কাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত লালন শেখের মৃত্যুর ঘটনায় সিবিআইয়ের ডিআইজি এবং এএসপি-সহ মোট ৭ জনের নামে এফআইআর রুজু করেছিল পুলিশ৷ সূত্রের খবর, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট সামনে আসার পরই এই বিষয়ে বড়সড় পদক্ষেপ গ্রহণ করল সিবিআই৷ রাজ্য পুলিশের দায়ের করা এফআইআরকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা৷ মামলা করার অনুমতি দিয়েছেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। আজই দুপুরে এই মামলার শুনানির সম্ভবনা রয়েছে৷ বস্তুত, ইতিমধ্যেই লালনের মৃত্যুর তদন্তভার সিআইডিকে দিয়েছে রাজ্য৷

বস্তুত, সোমবার বিকেলে রামপুরহাটে সিবিআইয়েপ অস্থায়ী ক্যাম্পে অস্বাভাবিক মৃত্যু হয় লালনের৷ ওই ঘটনায় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের কর্তাদের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ এনে মঙ্গলবার বিকেলে রামপুরহাট থানায় অভিযোগ জানান নিহতের স্ত্রী৷ তারই ভিত্তিতে তদন্তে নেমে সিবিআইয়ের ডিআইজি এবং এএসপি-সহ মোট ৭ জনের নামে এফআইআর রুজু করে পুলিশ৷ ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় খুন, তোলাবাজির অভিযোগ-সহ একাধিক ধারায় মামলা করা হয়৷ সূত্রের খবর, এই সাতজনের মধ্যে রয়েছে সুশান্ত ভট্টাচার্য নামে এক সিবিআই আধিকারিক। বস্তুত, গরু পাচার মামলায় বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করেছিলেন এই সুশান্ত৷ বস্তুত, এদিন কলকাতা হাইকোর্টে সেই প্রসঙ্গটিও উত্থাপন করেন সিবিআইয়ের আইনজীবী৷

- Advertisement -

বস্তুত, হেফাজতে অকথ্য অত্যাচারের চোটে মৃত্যু হয়েছে বগটুই গণহত্যার অন্যতম মূল অভিযুক্ত লালন শেখের৷ পরিবারের এই দাবিকে নসাৎ করে দিয়েছে ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট৷ রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ সূত্রের খবর, লালনের দেহে আঘাতের কোনও চিহ্ন পাননি চিকিৎসকেরা৷ রিপোর্টে মৃত্যুর কারণ হিসেবে প্রাথমিকভাবে উল্লেখ করা হয়েছে, ঝোলার কারণেই লালনের ফাঁস লেগে মৃত্যু হয়েছে৷ আঘাতের কোনও চিহ্ন নেই৷ আদালতে এই প্রসঙ্গটিও আজ তুলে ধরবেন তদন্তকারীরা৷

আরও পড়ুন: সামনে এল লালনের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট, কিছুটা স্বস্তিতে সিবিআই