গরু চোর, রাজধানীতে পা রেখেও একই স্লোগান শুনলেন তৃণমূলের ‘সম্পদ’

0
70
Anubrata Mandal

খাস প্রতিবেদন: এক পূর্ণিমায় জেলের গরাদে ঢুকতে হয়েছিল তাঁকে৷ ৬ মাসের ব্যবধানে তেমনই এক বিশেষ পূর্ণিমায় কলকাতাকে বিদায় জানাতে বাধ্য হলেন তিনি৷ তিনি অনুব্রত মণ্ডল৷ তৃণমূলের অন্দরে ‘দলের সম্পদ’ হিসেবে পরিচিত এই দোর্দন্ডপ্রতাপ নেতা কড়া নিরাপত্তা বেস্টনির মধ্যে এই মুহূর্তে পা রেখেছেন দেশের রাজধানী দিল্লিতে৷ কলকাতা ছাড়ার আগের মুহূর্তে জোকার ইএসআই হাসপাতাল থেকে বেরানোর সময় তাঁকে শুনতে হয়েছিল, ‘গরু চোর’ স্লোগান৷ রাজধানীতেও পা রেখে একই স্লোগান শুনতে হল বীরভূমের জেলা সভাপতিকে৷ বিমানবন্দর থেকে কড়া প্রহরায় বাইরে বেরানোর সময় অনু্ব্রতকে লক্ষ্য করে এই স্লোগান ভেসে আসে৷ যার জেরে সাময়িক উত্তেজনাও তৈরি হয়৷

বস্তুত, সোমবার সন্ধ্যেতেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল, এ যাত্রায় দিল্লি সফর নিশ্চিত৷ যার নিট ফল মঙ্গলবার সকালেই আসানসোলের সংশোধনাগার থেকে কেষ্ট মণ্ডলকে নিয়ে জোকার ইএসআই হাসপাতালের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিল রাজ্য পুলিশ৷ জোকায় স্বাস্থ্য পরীক্ষার পরই অনুব্রতকে নিজেদের হেফাজতে নেয় ইডি৷ বিকেলের দিকে অনুব্রতকে নিয়ে আসা হয় কলকাতা বিমানবন্দরে। সূত্রের খবর, শেষ মুহূর্তেও নিজের সফর আটকানোর চেষ্টা করেছিলেন কেষ্ট মণ্ডল৷ বিমানবন্দরের লাউঞ্জে বসে থাকাকালীন আচমকাই তিনি জানান, তাঁর শরীর খারাপ লাগছে। শ্বাসকষ্টের সমস্যার কথাও জানান৷ ঘন ঘন ইনহেলার নিতে শুরু করেন৷

- Advertisement -

তদন্তকারী সংস্থার এক কর্তার সংক্ষিপ্ত মন্তব্য, ‘‘বিপদের সময় শরীর খারাপ লাগাটাই স্বাভাবিক৷ উনি শেষ চেষ্টা করবেন, এটা আমরাও জানতাম৷ তাই সব ধরণের ব্যবস্থাই তৈরি ছিল৷’’ বস্তুত, কোনওভাবেই দিল্লি যাওয়া আটকানো যাবে না বুঝতে পেরে শেষ মুহূর্তে এক কাপ লাল চাও চেয়ে খেতে দেখা যায় বীরভূমের বেতাজ বাদশাকে৷ তবে দিল্লিতে পা রাখার পরেই গরু চোর স্লোগান শুনে বেশ কিছুটা মুষড়ে পড়তে দেখা যায় অনুব্রতকে৷

আরও পড়ুন: দিল্লি কনফার্ম, শোনার পর থেকেই ‘কনফিডেন্স’ উধাও কেষ্ট মণ্ডলের