মহিলাদের সঙ্গে শ্লীলতাহানি-মারধরের অভিযোগ বাড়ির মালিকের বিরুদ্ধে, তদন্তে পুলিশ

0
43
Allegation of molestation

সল্টলেক: মহিলাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার এবং অভিযোগকারীর শ্লীলতাহানির (Allegation of molestation) চেষ্টার অভিযোগ। শুধু তাই নয়, পরিচারিকাকে মারধরের অভিযোগও উঠেছে। পাশাপাশি বাড়ির বাথরুম ও কমন প্যাসেস ব্যবহার করতে না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বাড়ির মালিকের বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যেই অভিযোগ দায়ের হয়েছে বিধাননগর উত্তর থানায়। ঘটনার তদন্তে বিধাননগর উত্তর থানার পুলিশ (police)।

বিস্তারিত খবর, লাইভ ভিডিও সহ সমস্ত রকম আপডেট পেতে লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ: https://www.facebook.com/khaskhobor2020/

- Advertisement -

জানা গিয়েছে, সল্টলেকে ইসি ৬৭ নম্বর বাড়িতে একতলায় থাকেন অ্যাডভোকেট ইন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়, ওনার স্ত্রী সোনালি মুখোপাধ্যায় এবং একমাত্র কন্যা ঐন্দ্রিলা মুখোপাধ্যায়, উনিও এডভোকেট বর্তমানে চাকরি করেন। সেকেন্ড ফ্লোরে থাকেন অশোক চট্টোপাধ্যায় রিটায়ার্ড এবং ওনার স্ত্রী সোমা চট্টোপাধ্যায়। এই বাড়িটির মালিক দুজন অমিত বিশ্বাস এবং অম্লান বিশ্বাস। ইন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় এই বাড়িটি কেনেন ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১০ ই মার্চ ২০২২ এ পজিশন দেন বাড়ির। ১২/০৭/২০২১ ৯০% পেমেন্ট করে দেন এবং ১০% পেমেন্ট বাকি আছে বাড়ির রেজিস্ট্রেশনের জন্য। এই বাড়িটি ডেভলপমেন্ট করেন সীমা অ্যাসোসিয়েটস যার কর্ণধার উত্তম বৈদ্য ওরফের ববি যার অফিস ঠিকানা সিকে ১২৪।

সম্প্রতি, বাড়িওয়ালা অমিত বিশ্বাস এবং অম্লান বিশ্বাস বাড়ির অন্য সদস্যদের সাথে দুর্ব্যবহার গালাগালিজ এমনকি কমন স্পেসে সার্ভেন্ট কোয়ার্টার সিকিউরিটি গার্ডের কোয়াটার এবং বাথরুম ব্যবহার করতে দিচ্ছেন না বাড়ির অন্য সদস্যদের। এই ঘটনার প্রতিবাদ করতে গিয়ে গতকাল ঐন্দ্রিলা মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে। এমনকি শারীরিক হেনস্তা করার পাশাপাশি তাদের বাড়ির পরিচারিকাকে মারধর করে বলে অভিযোগ। এরপর মুখোপাধ্যায় পরিবার এবং চট্টোপাধ্যায় পরিবার দুই পরিবারের তরফ থেকে বিধাননগর উত্তর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়।

আরও পড়ুন-চাঞ্চল্যকর খবর, নিহত মোট ৮৬ সাংবাদিক

অভিযোগ পেয়ে আজ পুলিশ ঘটনাস্থলে এলে কিন্তু অমিত বিশ্বাসের স্ত্রী অসুস্থ বলে তার স্ত্রীকে ডাক্তার দেখাবার নাম করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। যদিও পুলিশের তরফ থেকে তাকে থানায় দেখা করতে বলা হয়েছে। ইন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়ের অভিযোগ, বাড়িওয়ালা অর্থাৎ অমিত বিশ্বাস এবং অম্লান বিশ্বাস দুজনে এক হয়ে উত্তম বৈদ্যর সঙ্গে যোগ হয়ে বাড়ির অন্য সদস্যদের হ্যারাসমেন্ট করছেন। উত্তম বৈদ্যর সঙ্গে যোগাযোগ করতে গেলে তিনি ক্যামেরার সামনে কিছু বলতে চাননি।

কিন্তু ফোনে তিনি জানান তার বাড়ির নিচে যে কমন স্পেস বলে অন্যান্য সদস্যরা বলছে, সেগুলো হল বেআইনি এবং সেইগুলো তিনি ভেঙে দেবেন। এখনও পর্যন্ত দুই পরিবারকে কেন রেজিস্ট্রেশন করা হয়নি এই প্রশ্ন করা হলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান। তিনি সম্পূর্ণ বাড়িওয়ালা এবং অন্যান্য বাড়ির সদস্যদের সঙ্গে বনিবনা হচ্ছে না বলে তাদের ওপর ছেড়ে দেন। যদিও তিনি বেআইনি কনস্ট্রাকশন করে থাকেন তাহলে তো দায়ভার তার। এখন দেখার এই অসহায় পরিবারের পাশে পুলিশ কিভাবে দাঁড়ায়। যদিও পরিবারের আইনের ওপর বিশ্বাস আছে। যদি পুলিশ এই বিষয়ে কোন ব্যবস্থা না হয় তাহলে আরো উচ্চতর জায়গায় তারা অভিযোগ দায়ের করতে বাধ্য হবেন। ইতিমধ্যেই ঐন্দ্রিলা চট্টোপাধ্যায় অভিযোগ দায়ের করেছেন বিধাননগর উত্তর থানায় এবং সেই অভিযোগের ভিত্তিতে একটি মামলা রুজু হয়েছে।

সারাদিনের সমস্ত খবরের আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন খাস খবর অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ: https://play.google.com/store/apps/details?id=app.aartsspl.khaskhobor