প্রতারণার শিকার হলেন মিমি চক্রবর্তী

0
79

অর্পিতা দাস: বড়সড় প্রতারণার শিকার হলেন সাংসদ অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী। গতকাল কসবার ১০৭ নম্বর ওয়ার্ডের ভুয়ো ক্যাম্প থেকে টিকা নেওয়ার পর এই প্রতারণার কথা বুঝতে পারেন মিমি চক্রবর্তী। তিনি অন্যান্য প্রবীণ, তৃতীয় লিঙ্গ এবং বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তিদের টিকা নেওয়ার জন্য অনুপ্রাণিত করেন। কিন্তু এই টিকা কেন্দ্র এবং টিকাকরণ ছিল পুরোটাই ভুয়ো।

জানা গিয়েছে, দেবাঞ্জন দেব নামে এক ব্যক্তি নিজেকে আইএএস বলে পরিচয় দিয়ে এই টিকাকরণ করান। টিকাকরণ কেন্দ্রে মিমিকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন এই ব্যক্তি। মিমি জানিয়েছেন, তাঁর কাছে একটি ফোন আসে। জানানো হয় জয়েন্ট কমিশনার অফ কেএমসির উদ্যোগে টিকাকরণ হচ্ছে।

- Advertisement -

কিন্তু টিকা নেওয়ার পর যে মেসেজ আসার কথা তা মিমি পাননি। তখনই মিমির খটকা লাগে, এমনকি মিমিকে জানানো হয় সার্টিফিকেট আসতেও কয়েকদিন সময় লাগবে। তখন মিমি যোগাযোগ করে জানতে পারেন কারোরই রেজিস্ট্রেশন হয়নি এবং কেউই মেসেজ পাননি।

এরপরই সময় নষ্ট না করে প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন মিমি চক্রবর্তী। মিমি সহ এই ক্যাম্পে টিকা নিয়েছেন ২৫০ জন, অথচ কোনো রকম অনুমতি ছাড়াই চলছিল এই ক্যাম্প। যদিও জাল আইডি কার্ডসহ গ্রেফতার করা হয়েছে প্রতারক দেবাঞ্জন দেবকে। জানা গিয়েছে, তিনি নীল বাতি লাগানো গাড়ি নিয়ে ঘুরতেন এবং তার সঙ্গে থাকত নিরাপত্তারক্ষীরা।

তিনি গ্রেফতার হলেও এখন সকলের মনেই প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে, অনুমতি ছাড়া কিভাবে এত বড় টিকাকরণ চলে? মিমি সহ ২৫০ জন মানুষ যে টিকা নিলেন সেগুলো কি আসল টিকা? আপাতত বাকি ভ্যাকসিন ল্যাবে পাঠানো হয়েছে এবং এই পুরো বিষয় নিয়ে তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ।