‘নেতামন্ত্রীদের ঝাঁ চকচকে বাড়ি, তবু প্রাথমিক স্কুলের এ কি অবস্থা’ আন্দোলনে খুদেরা

0
61

এগরা: সারি দিয়ে বসে রয়েছে খুদে পড়ুয়ারা। পরনে স্কুল পোশাক। নামতা পড়ার স্টাইলে কচি কন্ঠে নিজেদের স্কুলের বারোমাস্যার কথা বলছিল ওরা। পিছনে বসে অভিভাবক কূল। লক্ষ্মীবারের দুপুরে এমনই ঘটনার সাক্ষী থাকল পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এগরা-১ ব্লকের বিডিও অফিস। স্বভাবতই বিব্রত প্রশাসনিক কর্মকর্তারা। এগরা-১ পঞ্চায়েত সমিতির প্রশাসনিক সভাপতি অমিয় কুমার রাজ বলেন, “আমরা বিষয়টি জেলার সংশ্লিষ্ট দফতরে জানিয়েছি। স্কুলের ব্যাপারটা আমাদের বিশেষ নজরে আছে। অবিলম্বে সমস্যার সমাধান হবে।”

এগরা-১ ব্লকের ছত্রি গ্রাম পঞ্চায়েতে রয়েছে ছত্রী-১ নম্বর প্রাথমিক স্কুল। পড়ুয়া থেকে অভিভাবকদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে ভগ্নপ্রায় অবস্থা স্কুল ভবনের। অগত্যা, দীর্ঘদিন ধরে রোদ জল বৃষ্টি উপেক্ষা করেই খোলা আকাশের নিচে পড়াশোনা করতে হয় পড়ুয়াদের। স্কুল মেরামতির দাবিতে প্রশাসনের আধিকারিকদের একাধিকবার জানালেও মেলেনি কোনও সুরাহা। অবশেষে বাধ্য হয়ে বৃহস্পতিবার অভিভাবক থেকে খুদে পড়ুয়ারা বিডিও অফিসের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান বিক্ষোভের সামিল হলেন।

- Advertisement -

পড়ুয়াদের কথায়, স্কুল ভবনের দিকে তাকালে বুকটা কেঁপে ওঠে। এই বুঝি মাথায় ভেঙে পড়ল। বাধ্য হয়ে খোলা আকাশের নিচে ক্লাস করি। ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবকেরা বলেন, ” নেতা-মন্ত্রীদের ঝাঁ চকচকে বাড়ি। অথচ প্রাথমিক স্কুলের এ কি অবস্থা? সত্যিই শিশুদের অপরাধ কি? এভাবেই খোলা আকাশের নীচে একবিংশ শতাব্দীতেও বসে ক্লাস করতে হচ্ছে। যা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। বাধ্য হয়েই আন্দোলন।”

সমস্যার কথা স্বীকার করে নিয়ে স্কুলের শিক্ষক সঞ্জীব সাউ বলেন, ” আমরা এই বিষয়ে বহুবার এসআই এবং বিডিও’র দ্বারস্থ হয়েছি। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। তবে এ দিন আমাদের অভিভাবকেরা ব্লকে অবস্থান বিক্ষোভে দেখিয়ে এসেছেন। দেখা যাক কি হয়।”