পড়ায় মনসংযোগ করতে নগ্ন হয়ে বসতে হবে, ছাত্রীকে অদ্ভূত প্রস্তাব বিবাহিত শিক্ষকের

0
126

আলিপুরদুয়ার: নিজে থেকেই পড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছিলেন যুবক। বিবাহিত এবং এক সন্তানের বাবা হওয়ায় তরুণীর পরিবারও কোনও সন্দেহ না করেই রাজি হয়ে যায়। এরপরই ঘটল বিপত্তি। শিক্ষকের লাগাতার ধর্ষণে ক্যান্সার আক্রান্ত হয়ে পড়ে দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রী। এমন চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে আলিপুরদুয়ারে।

আরও পড়ুন: ‘লোকের পেটে লাথি মেরে রাজনীতি করা’ শাসক দলকে আক্রমণ দিলীপের

- Advertisement -

জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত যুবক ওই ছাত্রীকে তার বাড়িতেই পড়াতে যেত। শিক্ষকের নিয়ম ছিল নগ্ন হয়ে পড়তে বসতে হবে, পরনে জামাকাপড় থাকলে পড়াশোনায় নাকি মন আসে না। এই অদ্ভুত নিয়ম বানিয়ে লাগাতার ধর্ষণ চলত। খাওয়ানো হত গর্ভনিরোধক পিল। ঘটনার কথা জানাজানি যাতে না হয় তার জন্য প্রাণে মারার হুমকিও দেওয়া হত। এইভাবেই দিনের পর দিন চলছিল। হঠাৎ করে কয়েকদিন আগে অসুস্থ হয়ে পড়ে ওই ছাত্রী। আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে শারীরিক পরীক্ষা করা হলে নির্যাতিতার শরীরে ক্যান্সার ধরা পড়ে। এরপরই শিক্ষকের কুকীর্তির কথা প্রকাশ্যে আসে। বোঝা যায়, আট মাস ধরে ধর্ষণকাণ্ড চলছে। মাত্রাতিরিক্ত গর্ভনিরোধক পিলের কারণে পেটে ঘা হয়ে সেখান থেকেই ছড়িয়ে পড়েছে এই মারণ রোগ। চিকিৎসকদের মতে, এখনও পর্যন্ত এমন কোনও ঘটনা জানা যায়নি যেখানে গর্ভনিরোধক পিল থেকে ক্যান্সার ছড়িয়েছে। কোনও অনুন্নত মানের ওষুধ খাওয়ানোর ফলেই রোগ ছড়িয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: ৫৯ টাকায় শুরু কম্বো, বাহারি রকমের মোমো, আড্ডা জমাতে চলে আসুন এই ক্যাফেতে

অন্যদিকে, নির্যাতিতার পরিবারের তরফে আলিপুরদুয়ার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযুক্ত যুবক এখনও পলাতক। তবে তার স্ত্রীয়ের দাবি, ওই ছাত্রী আগে থেকেই অসুস্থ। চিকিৎসার টাকা আদায় করতেই মিথ্যে অভিযোগ আনা হয়েছে।