TET: ঠগ বাছতে গাঁ উজাড়, ‘নকল’ শিক্ষক ধরতে নয়া নির্দেশ সংসদের

0
56
OMR SHEET OF cbi

কলকাতা: ইলিশ মাছের ডিমের মতো পাইকারি হারে সামনে আসছে শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারির ঘটনা৷ এহেন আবহে ‘আসল’ শিক্ষক বাছতে নজিরবিহীন নির্দেশ জারি করল প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ। সংসদ সূত্রের খবর, রীতিমতো বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে আগামী বুধবারের মধ্যে রাজ্যের ৪২ হাজার ৯৪৯ জন প্রাথমিক শিক্ষককে তাঁদের নিয়োগ সংক্রান্ত যাবতীয় নথি জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ যার জেরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে শিক্ষা মহলের অন্দরে৷ যদিও সংসদ কর্তৃপক্ষের দাবি, নিয়োগ কেলেঙ্কারির তদন্তে নামা কেন্দ্রীয় সংস্থা সিবিআইয়ের তরফে ওই নথি চাওয়া হয়েছে৷ তাই এমন নির্দেশ৷

বস্তুত, পালা বদলের পর যে সমস্ত শিক্ষক নিয়োগপত্র পেয়েছেন তাদেরই নিয়োগপত্র-সহ যাবতীয় নথি পর্ষদের কাছ থেকে চেয়ে পাঠিয়েছে সিবিআই৷ তারই জেরে পর্ষদের তরফে জারি করা নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে ৪২,৯৪৯ শিক্ষক নিয়োগের বিষয়টির তদন্তে নেমেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই। তাই জরুরি ভিত্তিতে এক্সেল শিট-এ ৪২,৯৪৯ জন শিক্ষককেই তাঁদের নিয়োগ সংক্রান্ত নথি সংসদকে পাঠাতে হবে।

- Advertisement -

সম্প্রতি নন্দীগ্রাম থেকে বিস্ফোরক অভিযোগ সামনে এনেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী৷ দাবি করেছিলেন, ‘‘১৮ বছর হয়নি, টাকার জোরে এমন কিশোরদেরও প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি দেওয়া হয়েছে৷’’ স্বভাবতই, তারপরই আরও তৎপর হয় সিবিআই৷ এবার যিনি স্কুলে পড়াচ্ছেন তিনিই ‘অরিজিনাল শিক্ষক’ কি না, তা জানতে ২০১৪ সালে টেট উত্তীর্ণ প্রাথমিক স্কুলের মাস্টারমশাইদের চাকরির নিয়োগ পত্র (appointment letter) আর কাজে প্রথমদিন যোগ দেওয়ার রিপোর্ট (joining report) সহ যাবতীয় নথি চেয়ে পাঠানোর সিদ্ধান্ত বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল৷ ফলে যাবতীয় কাজ ছেড়ে নথি জোগাড়ে ব্যস্ত সংশ্লিষ্ট শিক্ষকেরা৷ কোনও নথিপত্র না পেলে বা হারিয়ে গিয়ে থাকলে, সেক্ষেত্রে কি হবে সেটা ভেবেও অনেকেই উদ্বিগ্ন৷

আরও পড়ুন: ‘আগে জানলে যশোবন্তকে প্রার্থী করতাম না’ মমতাকে তীব্র ব্যঙ্গ বিজেপি সাংসদের