এত গুলি-বন্দুক আসছে কোথা থেকে, বাংলায় কি আইনের শাসন নেই- প্রশ্ন বাসিন্দাদের

দুটি ঘটনার ক্ষেত্রেই শুরু হয়েছে পুলিশি তদন্ত৷ পুলিশ জানাচ্ছে, দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে৷ বাসিন্দাদের পাল্টা প্রশ্ন, সে তো নাই বোঝা গেল, তদন্ত হবে৷ কিন্তু এত বেআইনি গুলি, বন্দুক আসছে কোথা থেকে? বাংলা কি তাহলে সুরক্ষিত নয়? এখানে কি নেই আইনের শাসন? পুলিশ নিস্ক্রিয় থাকার বিশেষ কোনও কারণ আছে কি? তা না হলে থোর-বড়ি-খাড়ার মতো বোমা-গুলি-দুষ্কৃতীরাজ অব্যাহত কেন? ‘স্পর্শকাতর’ প্রসঙ্গে অবশ্য মন্তব্য করতে চাননি কোনও পুলিশ কর্তা৷

0
48

হাবরা: তপ্ত উত্তর ২৪ পরগণা। মঙ্গলবার রাতে দুটি এলাকায় চলল গুলি। গুলিবিদ্ধ হল এক কিশোর। অপর ঘটনায় আততায়ীর গুলি লক্ষ্য ভ্রষ্ট হওয়ায় অল্পের জন্য প্রাণ রক্ষা হয়েছে শাসকদলের দাপুটে নেতার৷ খবর পেয়ে পুলিশ পৌঁছায়৷ শুরু হয়েছে তদন্তও৷ তবে এরই মাঝে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা৷ নাম, ধাম পৃথক হলেও হাবরা থেকে জগদ্দল বাসিন্দাদের প্রশ্ন একটাই, ‘‘এত, গুলি বন্দুক আসছে কোথা থেকে? বাংলায় কি আইনের শাসন নেই? নাকি ‘বিশেষ কারণে’ পুলিশ নিস্ক্রিয়?’’

আরও পড়ুন: নির্বাচন না হলে কে হবেন মুখ্যমন্ত্রী, তৃণমূলের অন্দরে আলোচনা শুরু

- Advertisement -

মঙ্গলবার রাতে জগদ্দলে গুলি বিদ্ধ হয় সরোজ রায় নামে এক কিশোর৷ জানা গিয়েছে, জগদ্দলের নতুন গ্রাম এলাকায় মনসা মন্দির আর ক্লাবের জমিকে কেন্দ্র করে ঝামেলা চলছিল। তারপরই দুষ্কৃতীরা চারটি বাইকে চেপে এসে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে বলে অভিযোগ৷ বাসিন্দারা জানিয়েছেন, মোট পাঁচটি গুলির শব্দ শুনতে পান তাঁরা৷ এলোপাথারি গুলিতে জখম হয় সরোজ৷ দুটি গুলি লাগে তার দেহে৷ একটি হাতে এবং অন্যটি বুকের পাশে৷ আপাতত আর জি কর মেডিক্যালে চিকিৎসাধীন সে৷ চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তাঁর শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক৷

আরও পড়ুন: অনিশ্চয়তার মুখোমুখি বাংলার ভোট, কেন এমন বললেন শান্তনু

অপর গুলি কাণ্ড ঘটে হাবরা থানা এলাকায়৷ একুশে জুলাই উপলক্ষে স্থানীয় কিছু বিজেপি কর্মী তৃণমূলে যোগদান করবেন৷ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এবিষয়ে গ্রাম সেবা সংঘের স্কুলের সামনে লক্ষ্মী বিশ্বাসের বাড়িতে একটি মিটিংয়ের আয়োজন করেছিল তৃণমূল৷ হাজির ছিলেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা রাজীব সরকার। মিটিং সেরে বেড়ানোর পরই রাজীবকে লক্ষ্য করে এক দুষ্কৃতী গুলি চালায় বলে অভিযোগ৷ রাজীববাবুর কথায়, ‘‘ভাগ্যিস খেয়াল করেছিলাম যে উলটো দিক থেকে কেউ আমাকে প্রাণে মেরে ফেলার টার্গেট করছে৷ তা না হলে তো মরেই যেতাম!’’ দুষ্কৃতীর ছোঁড়া গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়৷

দুটি ঘটনার ক্ষেত্রেই শুরু হয়েছে পুলিশি তদন্ত৷ পুলিশ জানাচ্ছে, দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে৷ বাসিন্দাদের পাল্টা প্রশ্ন, সে তো নাই বোঝা গেল, তদন্ত হবে৷ কিন্তু এত বেআইনি গুলি, বন্দুক আসছে কোথা থেকে? বাংলা কি তাহলে সুরক্ষিত নয়? এখানে কি নেই আইনের শাসন? পুলিশ নিস্ক্রিয় থাকার বিশেষ কোনও কারণ আছে কি? তা না হলে থোর-বড়ি-খাড়ার মতো বোমা-গুলি-দুষ্কৃতীরাজ অব্যাহত কেন? ‘স্পর্শকাতর’ প্রসঙ্গে অবশ্য মন্তব্য করতে চাননি কোনও পুলিশ কর্তা৷