প্রশাসনের নাকের ডগায় চুরি হয়ে যাচ্ছে আস্ত নদী

0
123

তিমিরকান্তি পতি, বাঁকুড়া: সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে দিনে দুপুরে চলছে ‘নদী চুরি’। কথাটা শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। ভোর রাত থেকে সন্ধ্যে পর্যন্ত নদীর বুক চিরে চলছে অবাধে বালি চুরি। বাঁকুড়া-২ ব্লকের গন্ধেশ্বরী ও দ্বারকেশ্বরের মিলিত স্থলের অদূরে ভূতশহর নদী ঘাটের ঘটনা।

আরও পড়ুন: ভর্তুকি না পেলে রাস্তায় নামবে না বাস, হুঁশিয়ারি মালিকদের

- Advertisement -

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, নদী থেকে অবাধে বালি উত্তোলন কাণ্ডের পিছনে রয়েছে এক শ্রেণির সরকারি আধিকারিক ও পুলিশের প্রচ্ছন্ন মদত৷ স্থানীয়দের অভিযোগের সত্যতা ধরা পড়েছে আমাদের ক্যামেরাতেও। সার সার ট্রাক্টরে নদী গর্ভ থেকে অবাধে তোলা বালি জমা করে হচ্ছে নির্দিষ্ট জায়গায়। যা সময় সুযোগ মতো চড়া দামে বিক্রি হয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন এলাকায়৷

আরও পড়ুন: প্রীতিভোজের টাকায় বৌভাতে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করলেন ‘গরিবে’র বিধায়ক

স্থানীয় বাসিন্দা গণেশ গরাই, গণেশ বাগ, গগণ বাগরা বলেন, ‘‘ ভোর রাত থেকেই নদী থেকে বালি তোলার কাজ শুরু হয়। যা সমানে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলতে থাকে। ২৫ থেকে ৩০ টি ট্রাক্টর বোঝায় করে বালি পাচারের কাজ চলছে। সম্পূর্ণ গায়ের জোর আর পুলিশ প্রশাসনের মদতেই এই কাজ হচ্ছে। গ্রামের রাস্তায় যাতায়াতকারী ট্রাক্টরের কান ফাটানো শব্দে রাতে ঘুম হয় না।’’

আরও পড়ুন: কথা রাখছেন মুখ্যমন্ত্রী, পুজোর আগেই প্রাথমিকে সাড়ে দশ হাজার শিক্ষক নিয়োগ

একই সঙ্গে অবৈজ্ঞানিকভাবে নদীর গর্ভ কেটে বালি তুলে ফেরার ফলে যেকোনও মুহূর্তে নদীর গতিপথ বদলে যাওয়ারও আশঙ্কা থাকছে৷ সেক্ষেত্রে কিছু লোকের জেরেব জেলার বিস্তৃর্ণ এলাকার মানুষ নতুন করে বন্যার কবলে পড়তে পারেন বলেও আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে৷ স্বাভাবিকভাবেই নদী থেকে বালি চুরি ও প্রশাসনিক নিস্ক্রিয়তা নিয়ে এলাকার মানুষের মধ্যে দানা বাঁধছে ক্ষোভ৷

আরও পড়ুন: পর্ন দেখিয়ে দুই শিশুকন্যাকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার প্রতিবেশী যুবক

অন্যদিকে বালি তোলার কাজে যুক্ত এক শ্রমিককে প্রশ্ন করা হলে তাঁর অকপট স্বীকারোক্তি, ‘‘ কাজ নেই৷ দু’বেলা দু মুঠো খেতে পাই না৷ তাই জানি নদীর ক্ষতি হচ্ছে তবু বাবুরা টাকা দেন, তাই পেটের দায়ে বালি চুরির কাজ করি৷’’ কে খেতে দেবে! কাজ যদি তারা না পান তখন ‘চুরি’ করেও খেতে হবে বলে তিনি জানান। এবিষয়ে বাঁকুড়া সদরের মহকুমা শাসক সুশান্ত কুমার ভক্তের বক্তব্য, ‘‘এই মুহূর্তে নদী থেকে বালি তোলার কোনও সরকারি অনুমোদন নেই। প্রায়শই অভিযান চালানো হয়, আবারও অভিযান চালানো হবে৷’’